এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সকল মজলুম পরিবারের সদস্যের সামনে শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দিতে হবে। ফাঁসি ছাড়া শেখ হাসিনার অন্য কোন বিচার হতে পারে না । তিনি গতকাল মায়ের ডাকের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়ে গিয়ে এসব কথা বলেন।
২০১০ সালের ২৯শে জুন জামায়াতের নিরীহ নেতৃবৃন্দকে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার করে কাউকে ১০বছর ১২বছর ১৩বছর কারাগারে আটকে রেখে তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে । তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাদের অভিরাধ ছিল নাটক মূলত ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিরোচিত ভূমিকা রাখার জন্য তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে ।
সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে যেভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগকেও একইভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। ঠিক মনে রাখতে হবে, মজলুমের জালিমের প্রতি দয়া দেখানো মজলুমের রক্তের সাথে বেইমানি করা সুতরাং আওয়ামী লীগের প্রতি কেউ মায়া দেখাতে আসবেন না।
আমরা ভারতকে বলতে চাই ওই ইসকনের সন্ত্রাসী চিনবোকে নিয়ে আপনাদের যে মায়া কান্না । বিশ্বজিতকে যখন কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল আপনাদের এই মায়াকান্না কোথায় ছিল। ভারত কখনোই বন্ধুত্বের প্রশ্নে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে উত্তীর্ণ কোন বন্ধু নয় বরং আমরা যে রক্তের উপরে দাঁড়িয়ে আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি তা নিয়ে দাঁড়িয়ে বলতে চাই ভারতের সঙ্গে আমরা চোখে চোখ রেখে কথা বলার সাহস এবং শক্তি অর্জন করেছি । সুতরাং আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন ন্যাজ্যতা ও সমতার ভিত্তিতে । আওয়ামী লীগের ওই নতজন পররাষ্ট্রনীতি এই সরকারের আমলে আর এই ছাত্র জনতার গণঅভূত বাংলাদেশে আর হবে না।
স্মরণ করছি ২০১০ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বাংলাদেশের অহংকার সেনা সদস্য ওই ৫৭ জন সেনা সদস্যকে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ ভারতের নির্দেশে হত্যা করেছিল। আজকে সেই শহীদদেরকেও স্মরণ করছি ২০১৩সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি আমার সম্মানিত পিতা আল্লামা অন্যায় ভাবে ওই ট্রাইবুনাল থেকে ফাঁসির রায় দিয়েছিল। ওই ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশে যখন মানুষ বিক্ষোবে ফেটে পড়েছিল । ওই বিক্ষোবরতা মানুষের বুকে গুলি করে প্রায় ৩০০মানুষকে খুনি হাসিনা হত্যা করেছিল ।
একটি সুষ্ঠ নির্বাচন হতে হবে ঠিক কিন্তু সেই নির্বাচন অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে সংস্কারের পরে।ছাত্র জনতার রক্তের সাথে আওয়ামী লীগের সাথে ভারতের সাথেআপস না করে কোন নির্বাচন হবে না । আমরা চাই একটা সুন্দর সুষ্ঠ সংস্কারের পরে সুষ্ঠ একটি পরিবেশে ১৮কোটি মানুষ ভোট দেবে সেই ভোটে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এবং ইসলামী মূল্যবতী বিশ্বাসী সরকার গঠিত হবে।