বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে সরবরাহ করবে ইন্ট্রাকো

যাযাদি ডেস্ক
  ২৩ মে ২০২৩, ১৫:২৩

ভোলা থেকে উত্তোলিত গ্যাস সঞ্চালন লাইন না থাকায় জাতীয় গ্রিডে আনা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় এ অঞ্চলে উত্তোলিত গ্যাস সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) আকারে পরিবহন করে ঢাকার শিল্প-কারখানায় সরবরাহ করবে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি এ উপলক্ষে গত রোববার ভোলার গ্যাস উত্তলনকারী প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের কোম্পানিটি।

তথ্য অনুসারে, প্রথম ধাপে চার-পাঁচ মাসের মধ্যে পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সংকুচিত করে তা ঢাকায় সরবারহ করা হবে। আর দ্বিতীয় ধাপে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এক বছরের মধ্যে সরবরাহ করা হবে। মূলত সংকুচিত করার ফলে গ্যাসকে চাপের মাধ্যমে তরলে পরিণত করে তা গ্যাস ট্যাংকে জমা করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় গ্যাসকে তরলীকরণ করে তা পরিবহন করা হবে।

চুক্তি সূত্রে জানা গেছে, ইন্ট্রাকো সরকারের কাছ থেকে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস ১৭ টাকায় কিনে তা ৪৭ টাকা ৬০ পয়সায় বিক্রি করবে।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৩ পয়সা। আর সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৬ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৮৬ পয়সায়।

২০২১-২২ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা ও পরিচালক বাদে সব সাধারণ বিনিয়োগকারীর জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এরই মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করেছে কোম্পানিটি।

আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮১ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১২ টাকা ২১ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১২ টাকা ১৭ পয়সা।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা পেয়েছেন ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। আর সব ধরনের শেয়ারহোল্ডার পেয়েছেন ৮ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৮১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫২ পয়সা।

২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা পেয়েছেন ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। আর সব ধরনের শেয়ারহোল্ডার পেয়েছেন ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। তার আগের হিসাব বছরে ৫ শতাংশ নগদের পাশাপাশি একই হারে স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার। রিজার্ভে রয়েছে ২১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৭৫০। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩০ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ দশমিক ৮২ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৪৮ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইতে গতকাল ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৩৮ টাকা ৯০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১৯ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৫২ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে