মাঠের বাইরে বিশৃংখল জীবন আর মাঠে ছোঁয়া লাগার আগেই ডাইভ দিয়ে নাচন কুঁদন। গত মৌসুমের নেইমার জুনিয়র সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হবে এমনটাই। স্বভাবজাত প্রতিভায় চোখ ধাঁধানো কিছু ড্রিবলিং তো উপহার দিতেন বটে, তবে তার নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠত অহরহ।
মরিসিও পচেত্তিনোর মতো তারও বাজতে চলেছে বিদায় ঘণ্টা শোনা গিয়েছিল এমনটাই। তবে গতকাল রাতে মঁপেলিয়ের বিপক্ষে জোড়া গোল করে যেন আরও একবার জানান দিলেন, ফুরিয়ে যাননি তিনি।
এতে তার দল পিএসজিও পেইয়েছে ৫-২ গোলের বিশাল জয়। নিজেদের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে শুরু থেকেই বল পজেসনে এগিয়ে ছিল প্যারিসিয়ানরা। তবে ফিনিশিং ব্যর্থতায় ক্রিস্তোফ গালতিয়েরের শিষ্যদের গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ম্যাচের ৩৯ মিনিট পর্যন্ত। ১৭ মিনিটে লিওনেল মেসি নিশ্চিত গোলের সুযোগ করে দিয়েছিলেন নেইমারকে। তবে তালগোল পাকিয়ে সেটা নষ্ট করেন ব্রাজিল তারকা।
কিছুক্ষণ বাদেই আবারও সুযোগ পান নেইমার। তবে ভিতিনিয়ার পাস থেকে নেওয়া শট পায়নি জালের দেখা। মঁপেলিয়ে গোলরক্ষক ইয়োনাস অমলিন নজর কেড়েছেন এই ম্যাচে। মেসির দুর্দান্ত ফ্রি কিক ও শট ফিরিয়ে ছাড় দেননি কিলিয়ান এমবাপেকেও।
মঁপেলিয়ের চোয়ালবদ্ধ রক্ষণ ভাঙে নিজেদের দোষেই। এমবাপের নিচু ক্রস থেকে গোল করেন ফালায়ে সাকো, তবে সেটা নিজেদের জালেই! কাল যেন পিএসজিকে সাহায্য করবেন বলে ঠিকই করে রেখেছিলেন এই ফুলব্যাক। তার হ্যান্ডবলের পেনাল্টি পেলে গোল করতে কোন ভুল করেননি নেইমার।
বিরতির পর আবারও গোল পায় পিএসজি৷ প্রথমার্ধের দুর্দান্ত অমলিন করেন মারাত্মক ভুল। তার নেওয়া গোল কিক থেকে বল কেড়ে নেন এমবাপে। আশরাফ হাকিমিকে পাস দিলে তিনি আবার তা দেন নেইমারকে। ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার করেন ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল।
৫৮ মিনিটে গোল পায় মঁপেলিয়েও। জিয়ানলুইজি ডোনারুমার রিফ্লেক্সে ওয়াহির শট গন্তব্য না পেলেও ফিরতি শটে সহজ ট্যাপইনে সফরকারীদের ম্যাচে ফেরান ওয়াহবি খাজরি।
তবে এমবাপে ভেঙে দেন মঁপেলিয়ের ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন। ক্রস থেকে এমবাপের অবিশ্বাস্য ফ্লিকে ম্যাচ অতিথিদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। শেষ সময়ে রেনাতো সাঞ্চেসের কল্যাণে পঞ্চম গোলের দেখা পায় পিএসজি। যোগ করা সময়ে মঁপেলিয়ের স্বস্তির গোল পেলে ৩ গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় পিএসজিকে।
যাযাদি/ এসএইচ