দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নাজমুল হাসান পাপনের জায়গায় বিসিবিপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। তবে এখন জোর গুঞ্জন পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন তিনি। তার জায়গায় বিসিবির নতুন প্রধান হতে যাচ্ছেন সাবেক ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ নিজে থেকে পদত্যাগ না করলে অবশ্য মন্ত্রণালয় বা সরকারের কিছু করা খুবই কঠিন। বোর্ডে সরকারী হস্তক্ষেপের প্রমাণ পেলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা একরকম অবধারিত। তবে কেউ নিজ থেকে দায়িত্বে ছাড়লে সমস্যা নেই।
বর্তমানে মাঠের ক্রিকেটে অস্থির সময় পার করছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে নতুন করে বিসিবির সভাপতির পদ নিয়ে শুরু হয়েছে ভিন্ন নাটক। বুধবার (২৮ মে) রাতে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর বিসিবির এই সভাপতিকে ক্রীড়া উপদেষ্টা পদত্যাগ করতে বলেছেন! বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবি সভাপতি ফারুক।
ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারুক বলেছেন,‘ উপদেষ্টা কিন্তু আমাকে পদত্যাগ করতে বলেননি। উপদেষ্টা আমাকে জানিয়েছেন, তিনি নতুন লোক চান। আমি এই ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। দেখা যাক কী হয়।’
বুলবুলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সূত্রটি বুলবুলকে কোট করে জানিয়েছেন, ‘তার (আমিনুল ইসলাম বুলবুল) বোর্ড সভাপতি হওয়ার ইচ্ছে আছে। তবে সরকার চাইলেই হবে। সময়টা হয়তো দুইমাস, তবু তিনি দায়িত্ব পালন করতে চান। যতদূর জানি সব প্রসেস চলছে।’
ক্রীড়া উপদেষ্টা আর ফারুকের এমন মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বিপদই ডেকে আনতে পারে। কারণ ক্রিকেট প্রশাসনে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
এ ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি তাঁদের। সরকারি হস্তক্ষেপের জন্য শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নিকট অতীতেই আছে।
ফারুককে সরিয়ে দেওয়া হলে বাংলাদেশের ওপরও নেমে আসতে পারে নিষেধাজ্ঞার খড়গ। আবার ফারুক পদত্যাগ করলেও প্রমাণ করা মুশকিল যে এই সিদ্ধান্ত সরকারি প্রভাবমুক্ত নয়।