২০২৩ বিশ্বকাপে এক ক্রিকেটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগে ২০২৪ সালে বরখাস্ত করা হয় কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে। এই লংকান কোচকে চাকুরিচ্যুত করতে ২০২৩ বিশ্বকাপের তদন্ত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেছিলেন ফারুক আহমেদ। সেই তদন্ত কমিটির সদস্য বিসিবি পরিচালক মাহবুব আনাম এবার বললেন, তাদের করা তদন্তে এমন কোন ঘটনার সত্যতা মেলেনি!
ফারুক আহমেদের উপর অনাস্থা-জ্ঞাপন করে ক্রীড়া উপদেষ্টাকে বিসিবির ৮ পরিচালকের দেওয়া চিঠিতে একটি কারণ উল্লেখ করা হয়, কারো সঙ্গে আলোচনা না করে হাথুরুসিংহেকে চাকুরিচ্যুত করেন ফারুক। যদিও হাথুরুসিংহেকে চাকুরিচ্যুত করার সময় এই পরিচালকরা তাতে সায় দেন। কাউকে আপত্তি জানাতে দেখা যায়নি।
ফারুক আহমেদকে সরিয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে সভাপতি করার দিন আবার উঠে আসে এই প্রসঙ্গ। সেখানে বিসিবির প্রভাবশালী পরিচালক মাহবুব আনাম যা বললেন তাতে ফারুকের কথা মিথ্যা হয়ে যায়।
হাথুরুসিংহের প্রসঙ্গে আরও বিশদ ব্যাখ্যা দিতে হবে। এই কোচকে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়ে আসে নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ড। ২০২৩ বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থ মিশনে তিনি ছিলেন দায়িত্বে। তখন একটি গণমাধ্যমে বের হয় বোলার নাসুম আহমেদকে নাকি আঘাত করেছেন কোচ। বিশ্বকাপ ব্যর্থতা ও এই বিষয় নিয়ে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। যার প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়নি।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট দেশের ক্ষমতার পালাবদলে বিসিবির শীর্ষ পদেও আসে বদল। আত্মগোপনে থেকে পদত্যাগ করেন পাপন, দায়িত্বে আসেন ফারুক। যার সঙ্গে হাথুরুসিংহের ব্যক্তিগত বিরোধ ছিলো প্রকাশ্যে। ২০১৬ সালে তিনি প্রথম দফায় দায়িত্বপালনকালে প্রধান নির্বাচক ছিলেন ফারুক। দ্বন্দ্বে জড়িয়েই ফারুক পদ ছাড়েন।
হাথুরুসিংহে একাধিক গণমাধ্যমে নিজের উপর আসা অভিযোগ অস্বীকার করেন। সেই সময় বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত জানান তিনি এরকম কিছু জানেন না। বাংলাদেশের চাকরি ছেড়ে যাওয়া সহকারি কোচ নিক পোথাস পরে এক গণমাধ্যেম বলেন, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।
এবার তদন্ত কমিটির সদস্য মাহবুব আনাম বললেন, ‘আমাদের প্রতিবেদনে যদি এরকম কোন কিছু থাকত তাহলে তো তখনই আমরা তা প্রকাশ করতাম। এরকম কোন কিছু ছিলো না।’
প্রশ্ন উঠছে হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করতে কি তাহলে ফারুক মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন?