তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইতোমধ্যে সিরিজ খূইছে লিটন কুমার দাসের দল বাংলাদেশ। এবার সিরিজে হোয়াইটওয়াশের মুখে দাঁড়িয়ে টাইগাররা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু পাকিস্তানের কাছে প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে যায় টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে ৩৭ রানে ও দ্বিতীয়টি ৫৭ রানে হারে বাংলাদেশ।
দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে ব্যর্থতার চিত্র ফুটে উঠেছে। দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ বোলারদের বিপক্ষে ২০১ রান করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া বড় টার্গেটে জবাব দিতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের ব্যাটাররা। প্রথম ম্যাচে ১৬৪ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪৪ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক লিটন দাস ৩০ বলে ৪৮ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন পেসার তানজিম হাসান। নয় নম্বরে নেমে ৩১ বলে ৫০ রান করেন তানজিম।
শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন। দ্বিতীয় ম্যাচের পর লিটন বলেন, ‘আমাদের আরও একটি সুযোগ আছে। এই মুহূর্তে আমাদের সবার বসে চিন্তা করতে হবে কীভাবে আমরা শক্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারি। আমি মনে করি পুরোটাই মানসিকতার বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যে-ই ব্যাটিং করুক, তার ১৩-১৪ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করা উচিত। আমরা দ্রুত ব্যাক টু ব্যাক উইকেট হারিয়েছি। ক্রিকেটে আপনাকে বেসিক অনুসরণ করতে হবে। কখনও কখনো হয়ত বেসিক অনুসরণ করা হয় না।’
ইনজুরির কারণে দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ বল করেই মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশ পেসার শরিফুল ইসলাম। এ বিষয়ে লিটন বলেন, ‘ শরিফুল ইনজুরিতে পড়ার সময়ই ছন্দ পতন ঘটে। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম আমাদের বোলারের কমতি আছে। তারপরও আমরা ফিরে এসেছিলাম ভালোভাবে।’
সব মিলিয়ে টি২০তে ২১বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এরমধ্যে পাকিস্তান ১৮টিতে এবং বাংলাদেশ জয় পেয়েছে মাত্র ৩টিতে।
বাংলাদেশ দল : লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), শেখ মেহেদি হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারী, জাকের আলি অনিক, রিশাদ হোসেন, তানভির ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান ।
পাকিস্তান দল : সালমান আগা (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, হারিস রউফ, হাসান আলি, হাসান নাওয়াজ, হুসাইন তালাত, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হারিস, মোহাম্মদ আব্বাস আফ্রিদি, মোহাম্মাদ ইরফান খান, নাসিম শাহ, সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব।