ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর যুদ্ধ বন্ধের 'সময় এসেছে' বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক আলোচনায় এ কথা বলেন কমলা, যিনি আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স
ওই বৈঠকে নেতানিয়াহুর সঙ্গে 'খোলামেলা এবং গঠনমূলক' আলোচনায় গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তুলনায় কমলা 'কঠোর মনোভাব' দেখিয়েছেন। কমলা বলেছেন, গাজায় হতাহতের বিষয়ে তার 'গভীর উদ্বেগ' রয়েছে। সংকট সুরাহায় দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রতি জোর দিয়ে কমলা বলেন, 'সময় হয়েছে এই যুদ্ধ বন্ধের।'
নেতানিয়াহুর সঙ্গে ৪০ মিনিটের বৈঠকে কমলা বলেন, ইসরাইলের 'আত্মরক্ষার' অধিকার আছে, সেটা তিনি মানেন এবং দেশটির প্রতি আমেরিকার 'অটল প্রতিশ্রম্নতিও' আছে। কমলা বলেন, 'ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। তবে আত্মরক্ষার পদ্ধতি কী হবে, তা গুরুত্বপূর্ণ এবং একই সঙ্গে গাজায় ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। আমরা এই পরিস্থিতিতে অসাড় ভূমিকা নিতে পারি না, নীরবও থাকতে পারি না। আসুন আমরা যুদ্ধ শেষ করতে চুক্তিটি সম্পন্ন করি যাতে, আমরা যুদ্ধ শেষ করতে একটি যুদ্ধবিরতি পেতে পারি। আসুন আমরা জিম্মিদের মুক্ত করে নিয়ে আসি এবং ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ত্রাণ পৌঁছে দেই।'
নেতানিয়াহুকে যুদ্ধবিরতির চুক্তি চূড়ান্ত
করতে বললেন বাইডেন
এর আগে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে বৈঠকটি হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি চূড়ান্ত করতে নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'প্রেসিডেন্ট বাইডেন পার্থক্যগুলো দূর করার প্রয়োজনীয়তার কথা, যত দ্রম্নত সম্ভব চুক্তি চূড়ান্ত করা, জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধ বন্ধের কথা বলেছেন। এছাড়া তাদের মধ্যে গাজায় মানবিক পরিস্থিতি এবং ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যাপারেও কথা হয়েছে।'
পরে এক সংবাদ সম্মেলেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কারবি বলেন, 'প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই পরিস্থিতিতে একটি জিম্মি মুক্তি চুক্তির জরুরি প্রয়োজন বলে মনে করেন। এছাড়া তাদের আলোচনায় লেবাননে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা, ইরানের হুমকি এবং সমঝোতায় পৌঁছানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।' তবে আমেরিকা ও ইসরাইলের সম্পর্কে 'ফাঁক রয়েছে' বলেও মন্তব্য করেছেন জন কাবরি।