গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রবীণ সাংবাদিক ডং ইউয়ুকে সাত বছরের কারাদন্ড দিয়েছে বেইজিংয়ের একটি আদালত।
আমেরিকার জাতীয় প্রেস ক্লাব এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে 'গুয়াংমিং ডেইলি'র ৬২ বছর বয়সি এই সাবেক সম্পাদক ও সাংবাদিককে এক জাপানি কূটনীতিকের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের সময় আটক করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়।
বৃহস্পতিবার আদালতে তার শুনানির দিন পুলিশ বেশ কঠোরভাবে পাহারার ব্যবস্থা করা হয় আদালত চত্বরে।
কারদন্ডের বিষয়ে 'কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসে'র এশিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার বেহ লিহ ই বলেন, 'কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলা একজন সাংবাদিকের কাজের অংশ। গুপ্তচরবৃত্তির মতো মিথ্যা ও অন্যায্য অভিযোগে সাংবাদিকদের কারাদন্ড দেওয়া ন্যায়বিচারের
নামে প্রহসন।'
চীনা কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এই অন্যায্য রায় বাতিল করতে হবে উলেস্নখ করে বেহ আরও বলেন, 'চীনে সাংবাদিকদের নিরাপদে কাজ করার অধিকার রক্ষা করতে হবে।'
বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়মিত ব্যক্তিগতভাবে বৈঠক করতেন ডং।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, যে জাপানি কূটনীতিকের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল, তাকেও কয়েক ঘণ্টা আটক রাখা হয়।
২০০৭ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্যান ফেলো ডং জাপানের কেইও বিশ্ববিদ্যালয় এবং হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন। তিনি পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার পর ১৯৮৭ সালে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত গুয়াংমিং ডেইলিতে যোগ দেন। তিনি আইনি সংস্কার থেকে শুরু করে সামাজিক ইসু্যতে চীনা মিডিয়ায় বেশ সরব ছিলেন।
তার পরিবার প্রাথমিকভাবে তার আটকের খবর গোপন রেখেছিল এই আশায় যে, তাকে হয়তো ছেড়ে দেবে। তবে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তার পরিবার জানতে পারে, তাকে বিচারের মুখোমুখি
করা হবে।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করে এমন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) তার মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া ৭০০ জনের বেশি সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ এবং এনজিও কর্মী তার মুক্তির জন্য একটি অনলাইন আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন। তথ্যসূত্র : রয়টার্স