আবারও আইনি প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে অপারগতা প্রকাশ করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। এবার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা শঙ্কার কথা বলে দেশটির সাংবিধানিক আদালতে প্রথম আনুষ্ঠানিক শুনানিতে উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ইউনের আইনজীবী ইউন কাব-কেউনের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ নিউজ জানিয়েছে, দুর্নীতি তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা অবৈধভাবে অযৌক্তিক গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে ইউন সুক ইওলকে হেফাজতে নিতে এসেছিল। ফলে, প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হলেই কেবল তিনি শুনানিতে উপস্থিত হবেন। আগামীকাল মঙ্গলবার সাংবিধানিক আদালতের প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। অভিশংসিত ইউনের স্থায়ী অপসারণ বা পদে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত দিবে আদালত। এদিকে, ভিন্ন এক মামলায় ইউনকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবারও প্রস্তুতি নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তকারী কার্যালয় (সিআইও)। গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করে ইউন দেশদ্রোহের অপরাধ করেছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে এই সংস্থা।
গত ৩ জানুয়ারি অভিশংসিত প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারে তার রাষ্ট্রীয় বাসভবনে গেলে প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডসের বাধার মুখে ক্ষান্ত দিতে বাধ্য হয়েছিল সিআইও। দেশে সামরিক আইন জারি করে কয়েক ঘণ্টার বেশি বহাল রাখতে না পারলেও তার ভোগান্তি এখনও পিছু ছাড়ছে না ইউনের। তার এক সিদ্ধান্তে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।