কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য যেমন প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো গুরুত্বপূর্ণ তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামোর মধ্যে অডিটোরিয়াম গুরুত্বপূর্ণ।
সাম্প্রতিক সময়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে 'বিজয় কনসার্টের' আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহুদিনের আকাঙ্খা বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসার্ট হওয়া, প্রাপ্তি পুরন হলো।
দেশের জনপ্রিয় একটি ব্যান্ডদল 'আভাস' সেই কনসার্টের আকর্ষণে। কনসার্টকে ঘিরে শিক্ষক শিক্ষার্থী মহলে আনন্দের কমতি ছিল না। বিকাল থেকে বাড়তে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রংপুর সদর ও বাইওে লোকের সমাগম। কানায় কানায় পূরন হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠ, মূল ফটক আর কৃঞ্চচূড়া রোড। রাত সাড়ে ৯টায় মঞ্চে উঠে ব্যান্ডদল আভাস।
তার আগে ইন্সট্রুমেন্টগুলোর যাচাই করার সময়েও ক্ষিপ্ত কন্ঠে বহিরাগতদের 'ভুয়া ভুয়া' বলতে শোনা না।
দর্শকের ধারন ক্ষমতা প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার পথে, বিশেষ করে মেয়ে দর্শকদের বেশ হেনস্থার শিকার হতে হয় বহিরাগত দ্বারা।দেখতে পাওয়া যায় মেয়ে দর্শকদের ঘিরে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ছুড়ছে বহিরাগতরা।
এবার আসা যাক আভাস কান্ডে। মঞ্চে তখন গাইছে আভাসের লিড ভোকালিস্ট তুহিন। এরই মধ্যে বেশ কিছু বহিরাগতদের উন্মাদনা বেড়ে যায়। কেউবা প্রাক্তন অথবা প্রিয় মানুষের ছবি কনসার্টের দর্শকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরছে।
আভাসের গাওয়া শেষ হলে মূল মঞ্চের দিকে ধেয়ে আসে বহিরাগত দর্শকের বেশ কিছু দল। যারা মঞ্চে উঠে ভোকালিস্টের সাথে ছবি তোলার জন্য বেশ টানা হিছড়া শুরু করলে মঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয় ভোকালিস্টের। এমন সময় দ্রম্নত মঞ্চ ত্যাগ করে ব্যান্ডদল আভাস।
পুরো কনসার্ট জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজ ক্যাম্পাসে অতিথির থাকতে দেখা যায়। বহু-সংখ্যক বহিরাগতের সমাগম আর তাদের কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের আনন্দ ব্যাহত হয়েছে তা লক্ষনীয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিতেও কিছুটা নষ্ট হয়েছে।
এছাড়াও নামাজ চলাকালীন কনসার্ট চলায় বেরোবি কেন্দ্রীয় মসজিদ, কারমাইকেল কলেজ মসজিদ ও আবু সাঈদ চত্ত্বরে আবু সাঈদ মসজিদের নামাজরত মুসুলিস্নদের অভিযোগ উঠে।
এমন হাজারো সমস্যার সমাধান হিসেবে অডিটোরিয়ামহীনতাকে দায়ী করছে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবী বিশ্ববিদ্যালয় আয়তন যেহেতু কম, তাই কেন্দ্রীয় মসজিদ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, আবাসিক হল আর অনুষ্ঠানের জায়গাগুলোর দূরুত্ব কম হওয়ায় যেকোনো অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী পড়াশোনা বা ইবাদতে সমস্যা হয়ে থাকে।
এছাড়াও যেকোনো কালচার প্রোগ্রামে বহিরাগতের প্রবেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বেড়ে যায়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় বা বিভিন্ন বিভাগের নিজস্ব অনুষ্ঠানগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।