অনিশ্চিত দিন কাটানোর দিন শেষে যখন একজন শিক্ষার্থীর পরিচিতিতে একটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নাম যুক্ত হয়, তখন তিনি মায়ের আঁচল ছেড়ে স্বপ্নভরা চোখ নিয়ে উপস্থিত হন সেই গোধূলি ক্যাম্পাসে। মায়ের মুখে হাসি ফোটানোর এক নিরব অঙ্গীকার নিয়ে সেই ক্যাম্পাসের বুকে তার প্রথম পদক্ষেপ শুরু হয়। তার এই পদক্ষেপে একদিকে থাকে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার সংগ্রাম, অন্যদিকে থাকে মায়ার বাড়ির মায়া ছাড়ার গস্নানি। তার এই সংগ্রামের গস্নানিগুলো মুছে দিয়ে যারা তাকে বরণ করে নেন, তারা তার ব্যাচমেট। ক্যাম্পাসের প্রতিটা মোড়ে মোড়ে, প্রতিটা পথের ধারে যত গল্প লেখা হয়, সব গল্পের সাক্ষী হন ব্যাচমেটরা। এক বছর আগে ক্যাম্পাসে পা রাখা গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্মৃতি জমানোর পথে আয়োজন করলেন 'শাপা ডে' নামক ব্যাতিক্রমী এক উদযাপনের। ব্যাচের সব ছেলেরা পাঞ্জাবি ও সব মেয়ে পরবেন শাড়ী।
আইন ২৯ ব্যাচের সবাই একে অপরের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে ক্যাম্পাসের দিনগুলো অতিবাহিত করেন। সময়ের পরিক্রমায় অলক্ষ্যে তারা একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কে জড়িয়ে যান, নিঃশব্দে ভুলে যান অতীতের সব গস্নানি। ব্যাচে রয়েছে নানা রকমের বৈচিত্রময় স্মৃতি, সেটাকে আরও রঙিন করে 'শাপা ডে'। সকালে সবাই হাজির হয় এক হাস্যোজ্জ্ব্যল একরাশ সুখী মুখ নিয়ে। মেয়েরা শাড়ী আর ছেলেরা পাঞ্জাবি পরে।
খাবারের আয়োজন করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে এক এক করে। কাজ ভাগ করে নেয় রাব্বি, রওশন, শান্ত, শাওন, তামান্না, নাফিসা, হাবিবা, রেশমা। কেউ খাবারের আয়োজন করে, কেউ পেস্ন-কার্ড, ফুল নিয়ে সাজসজ্জার কাজে ব্যাস্ত হয়। বাবুর্চির দায়িত্বে ছিলো ব্যাচের সবাই।
সম্মিলিত রান্নার খাবারে স্বাদের ছিলোনা কমতি। আইন বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন ব্যাচের নিমন্ত্রণে। সবার একসাথে খাওয়ার সময়টা ছিলো দারুণ উপভোগ্য। খাওয়া শেষে সবাই ফটোসেশনের জন্য অংশ নেয়। জীবনের ব্যস্ততায় কয়েকজন বন্ধু উপস্থিত থাকতে পারেনি, যা শূন্যতা অনুভব করিয়েছে।