শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও সংগ্রাম

মনে রাখতে হবে জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব অনেক শক্তিশালী। তার কর্ম, সংগ্রাম ও চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে সারাবিশ্বে। প্রতিটি ক্ষেত্রে যে পরিকল্পনা তিনি করেছিলেন তারই ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এ দেশকে আজ উন্নত দেশে পরিণত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। বাঙালি জাতি চিরকাল শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে।
সালাম সালেহ উদদীন
  ১৬ মার্চ ২০২২, ০০:০০
বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও সংগ্রাম
বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও সংগ্রাম

১৭ মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। বাঙালি জাতি পালন করছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একজন নেতা তার দেশের মানুষকে মর্যাদাপূর্ণ আত্মপরিচয়ের আলোকে কী অপরিসীম সাহসিকতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন তার উজ্জ্বল উদাহরণ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশের সর্বস্তরের মানুষ তথা আবালবৃদ্ধবণিতার ভালোবাসা, হৃদয় উজাড় করা শ্রদ্ধা ও সম্মানে তিনি অভিষিক্ত হয়েছেন। সমগ্র দেশের মানুষ অকৃত্রিম ভালোবাসার ও বিশ্বাসের কারণে তার ওপর অর্পণ করে পূর্ণ আস্থা, তাকে স্থান দেয় তাদের হৃদয়ে। আমরা তাকে পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। স্মরণ করছি তার কাজ, চেতনা ও আদর্শকে।

তিনি বাংলার মাটিতে জন্ম নিয়েছেন, এ দেশের মানুষকে ভালোবেসেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন, এটা আমাদের সৌভাগ্যের কথা। তিনিই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের রূপকার এবং প্রতিষ্ঠাতা। দেশের মানুষের স্বার্থের বিষয়ে তিনি সব সময় ছিলেন আপসহীন। পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তিনি সবসময় ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থ। কখনো কোনো কিছুর বিনিময় বা প্রলোভনে বা ভয়ে বিন্দুমাত্র নতি স্বীকার করেননি।

1

এ কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, বঙ্গবন্ধু মাত্র ৩০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কেবল পাকিস্তান আমলেই ১৮ বার কারারুদ্ধ হয়ে ১২ বছর জেলে কাটিয়েছেন। ২৪টি মামলায় তিনি সাহসের সঙ্গে লড়েছেন এবং দুইবার মৃতু্যর সামনে দাঁড়িয়ে দেশবাসীর অকুণ্ঠ ভালোবাসায় ফিরে এসেছেন। তিনিই প্রথম নেতা যিনি মাতৃভাষায় প্রথম জাতিসংঘে ভাষণ দিয়ে বাংলা ভাষার মুখ উজ্জ্বল করেন। সত্তরের নির্বাচনে জাতির অবিসংবাদিত নেতারূপে তিনি অভিষিক্ত হন। গোটা জাতিকে তিনি ঐক্যবদ্ধ করেন। শুরু হয় এক অভূতপূর্ব আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন। দেশের মানুষকে তিনি মুক্তি ও স্বাধীনতার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ করেন। এরই একপর্যায়ে আসে মহান একাত্তরের ৭ মার্চ। সেদিন ঢাকার ঐতিহাসিক জনসমুদ্রে তিনি যে ভাষণ দেন সেটাই হয়ে ওঠে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অতু্যজ্জ্বল মাইলফলক। তিনি ঘোষণা করেন 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।' আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু। তিনিই তার নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতিকে পৌঁছে দিয়ে গেছেন স্বাধীনতার স্বর্ণ তোরণে।

\হদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, মৃতু্যঞ্জয়ী মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরে এক মুহূর্ত সময় অপচয় করেননি। পাকিস্তানি হানাদাররা শুধু এ দেশের ৩০ লাখ মানুষকেই হত্যা করেনি, এ দেশের স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, অফিস-আদালত, কলকারখানা সব ধ্বংস করে দেয়। স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠনে শুরু হলো বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম। দিন-রাত বঙ্গবন্ধুর অক্লান্ত পরিশ্রম আর কূটনৈতিক পারদর্শিতায় বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে থাকে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনি ব্যবস্থা থেকে শাস্তি এড়ানোর সুব্যবস্থা প্রদানের জন্য বাংলাদেশে 'ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ' আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এ ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেন। যেহেতু বাংলাদেশ সংসদ অধিবেশনে ছিল না, সে ক্ষেত্রে শেখ মুজিবের একজন ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ কর্তৃক একটি অধ্যাদেশের আকারে ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫ সালে এ আইনটি প্রণীত হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর তিনিই দেশটির রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এটি ১৯৭৫ সালের অধ্যাদেশ নং ৫০ নামে অভিহিত ছিল। পরে ১৯৭৯ সালে সংসদ কর্তৃক এটি অনুমোদন করা হয়। যার ফলে এটি একটি আনুষ্ঠানিক আইন হিসেবে অনুমোদন পায়। ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই বাংলাদেশ সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর পর সংশোধিত আইনে এ আইনটি বাংলাদেশ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জিয়াউর রহমান কেন এটাকে আইনে পরিণত করেছিলেন?

প্রশ্ন উঠতে পারে, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের জন্য দায়ী কে, মোশতাক না জিয়া? যেহেতু মোশতাক সরকার ছিলেন সেনা সমর্থিত, জিয়াউর রহমান ছিলেন সেনাপ্রধান সেহেতু এর দায় তিনি এড়াতে পারেন না। খুনিদের জন্য পদোন্নতি, সুযোগ-সুবিধা সবসময়ই অবারিত ছিল। ১৯৭৬ সালের ৮ জুন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১২ জনকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেন। শুধু তাই নয়, এসব খুনি এরশাদ ও খালেদা জিয়া সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় রাজনীতিতে অংশ নেন এবং রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

এখানে বিশেষভাবে উলেস্নখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন তারই সরকারের অর্থমন্ত্রী ও বাকশালের কার্যকরী কমিটির ১৫ সদস্যের ৪ নম্বর সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমেদ। কুমিলস্নার দাউদকান্দি উপজেলার সন্তান মোশতাক আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে বিএল ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৪২ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম মহাসচিব এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কতিপয় সেনা সদস্যদের হাতে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মোশতাক আহমেদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেন।

আশ্চর্যজনক বিষয় হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তাক্ত লাশ সিঁড়িতে রেখেই তার দীর্ঘকালের সহচররা খন্দকার মোশতাক আহমেদের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিলেন। তারা কেন যোগ দিয়েছিলেন? ভয়ে না অন্য বিশেষ কারণে, নতুনভাবে এটা বিশ্লেষণের দাবি রাখে। যৌক্তিক কারণে একটি নিরপেক্ষ জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন জরুরি। জাতি জানতে চায় বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রকৃত কুশীলব কারা ছিল? কজন তরুণ সেনা কর্মকর্তার পরিকল্পনায় এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হতে পারে না। এই হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী। প্রত্যক্ষ হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, একদিন পরোক্ষদেরও বিচার হবে। প্রমাণসহ জাতি তাদের নাম জানতে পারবে।

যারা মন্ত্রী না হয়ে হত্যার প্রতিবাদ করে কারাগারকে বেছে নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে তাজউদ্দীন আহমদসহ বেশ কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের মাঝামাঝি সময়ে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন। মোশতাকের মন্ত্রিসভা বহাল থাকা অবস্থাই ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। বঙ্গবন্ধু হত্যার ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে তারই ঘনিষ্ঠ সহচরদের মন্ত্রী হওয়ার ঘটনা খন্দকার মোশতাক সরকারের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছিল।

খন্দকার মোশতাকের ৮১ দিনের শাসনামলে সঙ্গী ছিলেন বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিসভার ২১ সদস্য। মোশতাক ক্ষমতা গ্রহণের সময় প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত করা হয়। ফলে তার সরকারে কোনো প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৮ সালের ২৯ জুন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত ছিল। ওই সময়ে বিদেশে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দেননি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই বছরের ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ অভু্যত্থান ঘটালে ৮১ দিনের মাথায় ৫ নভেম্বর ক্ষমতাচু্যত হয় মোশতাক সরকার। পরে ৭ নভেম্বর আরেকটি পাল্টা সামরিক অভু্যত্থানে ক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান।

খন্দকার মোশতাক সরকারের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের পথ উন্মুক্ত করে দেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মহিউদ্দীন আহমদ বিশেষ দূত হয়ে। মোশতাক সামরিক শাসন কায়েম করলেও জাতীয় সংসদ বহাল রেখেছিলেন। স্পিকার ছিলেন আবদুল মালেক উকিল। স্পিকার হওয়ার আগে ছিলেন বঙ্গবন্ধু সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠনের সিদ্ধান্ত নিলে এর প্রতিবাদ জানান মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা জেনারেল এম এ জি ওসমানী। প্রতিবাদে জাতীয় সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। কিন্তু সেই ওসমানীই আবার মোশতাকের নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ গ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আক্রমণের সময় শেখ মুজিবুর রহমান তার সামরিক সচিব কর্নেল জামিল উদ্দিনকে ফোন করে তার বাড়িতে আক্রমণের কথা জানিয়েছিলেন। কর্নেল জামিল তখন সঙ্গে সঙ্গে রওনা হয়েছিলেন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ির দিকে। কিন্তু সোবহানবাগ মসজিদের কাছে পৌঁছলে তার গাড়ি রোধ করে অভু্যত্থানের সঙ্গে জড়িত সৈন্যরা। সে বাধা উপেক্ষা করে কর্নেল জামিল সামনে এগিয়ে যেতে চাইলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এটা সত্য কর্নেল জামিলই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ ভক্ত অনুরাগী। বাকিদের কথা ইতিহাস জানে। যার কারণে কোনো প্রতিবাদ হয়নি। হত্যার অনেকদিন পর বাংলা একাডেমিতে কবি নির্মলেন্দু গুণ প্রতিবাদী কবিতা পাঠ করেন। রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সব সদস্যকে হত্যার পর ঘাতকরা একে অন্যকে বলছিল, 'অল আর ফিনিশড (সবাই শেষ)'। তারাই এখন ফিনিশড হয়ে গেছে। ইতিহাসে তারা ঘৃণিত ধিকৃত।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। খুনিদের বিচারের মাধ্যমে সে কালো অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটেছে ঠিকই, তবে বিতর্ক এখনো শেষ হয়নি। তৎকালীন আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা জড়িত ছিলেন, জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন কিনা এবং জাসদের কেউ জড়িত ছিলেন কিনা, জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে তা উদ্‌ঘাটন করা হোক। তা না হলে আগস্ট মাস এলেই বিতর্ক ও কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হবে। এর অবসান ঘটাতে হবে বর্তমান সরকারকেই।

মনে রাখতে হবে জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব অনেক শক্তিশালী। তার কর্ম, সংগ্রাম ও চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে সারাবিশ্বে। প্রতিটি ক্ষেত্রে যে পরিকল্পনা তিনি করেছিলেন তারই ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এ দেশকে আজ উন্নত দেশে পরিণত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। বাঙালি জাতি চিরকাল শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে।

সালাম সালেহ উদদীন : কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে