শিক্ষার্থীদের জন্য ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য মূলত মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের সমতুল্য। চলতি বছরে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই টিউশন ফি ১০০-৭০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকা শহরসহ অন্যান্য প্রধান শহর এমনকি মফস্বল এলাকাগুলোতেও বাড়ি ভাড়া বা মেস ভাড়া ৫০০ থেকে ১০০০ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বে একজন শিক্ষার্থীর ক্যান্টিনে সকালের নাস্তায় যেখানে ১৮ টাকা খরচ হতো সেখানে এখন ২৩ টাকা খরচ হচ্ছে। প্রতিটি খাবারের মূল্যই ৫-১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এক পেস্নট খিচুড়ি যেখানে ছিল ৩৫ টাকা তা এখন ৪৫ টাকা। ক্যাম্পাসের ভিতরে রিকশা ভাড়া ২০ টাকা থেকে পদোন্নতি পেয়ে ৩০-৬০ টাকায় পৌঁছেছে। সবকিছুর মূল্য এবং ব্যয়ের ঊর্ধ্ব পদোন্নতির দরুন শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমানতালে অবনতি হচ্ছে যা পরিবারের ওপরও আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে। এই আর্থিক চাপ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতাকেও বিরূপভাবে প্রভাবিত করে। যার ফলে একাডেমিক কর্মক্ষমতাও হ্রাস পেতে পারে। তাছাড়া শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার ঝুঁকিও বৃদ্ধি করতে পারে। শিক্ষার্থীদের ওপর মূল্যবৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব প্রশমিত করার জন্য, বিশ্ববিদ্যালয় এবং নীতিনির্ধারকরা আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি, ফ্রি টিউশন বাস্তবায়ন, আরও সাশ্রয়ী মূল্যের কোর্স উপকরণ প্রদান এবং আবাসন ও স্বাস্থ্যসেবা খরচ মোকাবিলার মতো বিকল্পগুলো অন্বেষণ করতে পারেন। উপরন্তু, শিক্ষার্থীরা তাদের খরচ কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য আর্থিক পরামর্শ, বৃত্তি, খন্ডকালীন কাজের সুযোগ এবং বাজেটের কৌশলগুলো বাস্তবায়নের দাবি জানাতে পারে।