সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

এবার তেজগাঁও বস্তিতে আগুন

পুনরাবৃত্তি রোধ করুন
নতুনধারা
  ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

দেশে অগ্নিকান্ডের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বস্তি ও বিভিন্ন কারখানা থেকে শুরু করে নানাভাবেই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এফডিসির পাশে মোলস্নাবাড়ী বস্তিতে অগ্নিকান্ডে একজন নারী ও একজন শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ২৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এরপর রাত আড়াইটার দিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ফায়ার সার্ভিস। প্রথমে ৮ ও পরে ১৩ ইউনিট একসঙ্গে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত পৌনে ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। মধ্যরাতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিট। আগুনে তিনশ' ঘর পুড়েছে।

এর আগে রাজধানীর মহাখালী সাততলা বস্তি ও কল্যাণপুরের নতুন বাজার বস্তিতে আগুন লেগেছে। চট্টগ্রামে মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে তিনটি অগ্নিকান্ডে পুড়েছে ছয়টি বস্তি। দুই বছর আগে ভেড়ামারা বস্তিতে এমনই এক অগ্নিকান্ডে পুড়েছিল ৯টি তাজা প্রাণ। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের এটাও আমলে নেওয়া সমীচীন, প্রতিটি অগ্নিকান্ডের পরই অভিযোগ উঠছে এসব বস্তিতে আগুন দেওয়ার বিষয়টি। তবে ফায়ার সার্ভিস কিংবা পুলিশ কারো কাছেই এর সঠিক জবাব নেই। এসব ঘটনা তদন্তে প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিকতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন- এমন বিষয় পত্রিকায় এসেছে। আমরা বলতে চাই, বস্তিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনাগুলো আমলে নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। একের পর এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে থাকবে এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

রাজধানী ঢাকাতে একের পর এক বস্তিতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানেই নানাভাবেই অগ্ন্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে- যা অত্যন্ত উদ্বেগের। অগ্নিকান্ডগুলোর বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩৯ ভাগ ক্ষেত্রেই আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বৈদু্যতিক ত্রম্নটি থেকে। অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে রেহাই পায়নি বস্তি থেকে শুরু করে কেমিক্যাল গোডাউন কিংবা আধুনিক বহুতল ভবনও। সংশ্লিষ্টদের এটা আমলে নেওয়া দরকার। বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতে ঘটে যাওয়া বড় বড় অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ ও সতর্ক না হওয়ায় অগ্নিদুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে আমরা মনে করি, এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।

উলেস্নখ করা প্রয়োজন, ২০১০ সালের ৩ জুন ঢাকার নিমতলীর অগ্নিকান্ডে ১২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। ওই ঘটনা তদন্ত করে ১৭ দফা সুপারিশ পেশ করেছিল তদন্ত কমিটি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সুপারিশগুলো এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তা ছাড়া ভুলে যাওয়া যাবে না যে, যাত্রাবাড়ীর কেমিক্যাল কারখানা, মিরপুর বস্তি, আশুলিয়া তাজরিন ফ্যাশন, টঙ্গির ফয়েল কারখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দ্রম্নত কার্যকর পদক্ষে নিতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে