বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায় নানাবিধ সীমাবদ্ধতার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হলো আবাসন সংকট। প্রতিবছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও বাড়ছে না আবাসিক হলের আসন সংখ্যা।
যার ফলে ৭২ বছর পেরিয়েও আবাসিক সংকটের সমাধান করতে পারেনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি আবাসিক হলে সর্বমোট পাঁচ হাজার ৩৮৩টি আসন রয়েছে। অন্যদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬ হাজারেরও বেশি। শিক্ষার্থীদের অনুপাতে হলের সংখ্যা কম হওয়ায় এমন চরম আবাসন সংকটে ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। যার ফলে উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীকে অতিরিক্ত ভাড়া ও নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকাগুলোতে মেস বা বাসা ভাড়া থাকতে হচ্ছে।
সম্প্র্রতি ১১টি হলে ১০৯১ জন শিক্ষার্থী নতুন করে আবাসিকতা পেয়েছেন। যদিও হলে সিট বরাদ্দের প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীর। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারকে স্বাগত জানায়। বিগত বছরগুলোতে এমনভাবে হলের সিট বরাদ্দ পাবে কেউ ভাবতে পারেনি।
কিন্তু সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকরণে শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। দেশের প্রাচ্যের ক্যামব্রিজখ্যাত দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত হল নির্মাণের জায়গার অভাব নেই, আছে প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব। পাশাপাশি চরম আবাসিক সংকট সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটানো হয়তো রাতারাতি সম্ভব নয়, কিন্তু রাবি প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব ঘুচলেই এ সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
তুহিন চাকমা
শিক্ষার্থী
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।