বাংলাদেশ আজ এক দ্বিমুখী সংগ্রামের মুখোমুখি। একদিকে ভারতীয় আধিপত্যবাদের চাপ, অন্যদিকে এদেশের ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা প্রভাব। এই দুই শত্রম্নর বিরুদ্ধে লড়াই এক কঠিন চ্যালেঞ্জ হলেও, জাতির অস্তিত্ব ও ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য এটি অনিবার্য।
ভারতীয় আধিপত্যবাদের চ্যালেঞ্জ
ভারত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, এবং কৌশলগত স্বার্থে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে আসছে। তাদের আধিপত্যবাদী নীতি বাংলাদেশের স্বাভাবিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। পানি সমস্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে শুরু করে সীমান্তে হত্যাকান্ড এবং অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতার চাপ, প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা বৈষম্যের শিকার। ভারতীয় আধিপত্যবাদ শুধু আমাদের জাতীয় সার্বভৌমত্বকেই হুমকির মুখে ফেলছে না, এটি আমাদের জনগণের অধিকারকেও সংকুচিত করছে।
ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থার
বিরুদ্ধে লড়াই
দেশের অভ্যন্তরে ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা জনগণের মৌলিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে ধ্বংস করেছিল। ভোটাধিকার হরণের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া প্রক্রিয়া পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে একটি ক্ষমতাকেন্দ্রিক দানবে পরিণত করেছিল। জনগণের কণ্ঠরোধ, বিরোধী দলের উপর দমন-পীড়ন, এবং বিচার বিভাগের উপর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সিস্টেম আমাদের স্বাধীনতার মূল চেতনাকে ধ্বংস করেছিল।
রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয়
ঐক্যের প্রয়োজন
এই দ্বিমুখী সংগ্রাম মোকাবিলার জন্য রাষ্ট্রের সংস্কার এখন সময়ের দাবি। জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্যের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব। পাশাপাশি, হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভবিষ্যতের দিশা
একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের কৌশলগত মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করতে হবে। বিশেষত চীন এবং পাকিস্তানের মতো আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা এবং ভারতের সঙ্গে পেশাদার সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই দ্বিমুখী সংগ্রামে আমাদের অস্ত্র হবে ঐক্য, সাহস এবং দৃঢ় নেতৃত্ব। একমাত্র জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমেই আমরা এই সংগ্রামে জয়ী হতে পারি। আসুন, আমরা সবাই একসঙ্গে এগিয়ে যাই- একটি ন্যায়ভিত্তিক, স্বাধীন এবং নিরাপদ বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে।
ইঞ্জিনিয়ার একেএম রেজাউল করিম
চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী
গবেষণা কেন্দ্র
রাবিতে
ফার্মেসি
চাই
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। ৭৫৩ একরের এত বড় একটি বিশ্ববিদ্যালয় অথচ এর অভ্যন্তরে কোনো ফার্মেসি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় ৩২,০০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। যার মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। ক্যাম্পাসের মধ্যে সব ধরনের দোকানপাট থাকলেও নেই শুধু ফার্মেসির ব্যবস্থা। ফলে সামান্য অসুখ হলেও ছুটতে হয় ৮ কিলোমিটার দূরে শহরে কিংবা ক্যাম্পাসের বাহিরে বিনোদপুর, কাজলায় ফার্মেসিগুলোতে। যা অনেক সময়সাপেক্ষ ও ভোগান্তির সৃষ্টি করে। বিশেষ করে রাতের বেলা কেউ অসুস্থ হলে ভোগান্তির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পায়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সেবা দিয়ে থাকেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ব্যতীত মেডিকেল সেন্টারটি বন্ধ থাকে। বাধ্য হয়ে তখন বাহিরে ছুটতে হয়।
শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় এনে জরুরিভিত্তিতে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ফার্মেসির ব্যবস্থা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ
করছি।
মো. সবুজ মিয়া
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়