সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

পাঠক মত

  ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
পাঠক মত

যৌতুক একটি মারাত্মক অভিশাপ

স্বাধীনতার পূর্বে ১টাকায় ২ কেজি চাউল পাওয়া যেত। মাছ, মাংস বর্তমান তুলনায় অনেক কম। তাতে মেহমান অতিথি মাসকে মাস বাসা বাড়িতে থাকিলেও মেয়ের বাপের গায়ে লাগতো না। কোন কমিউনিটি সেন্টারের ভাড়া ছিল না। এমনকি স্বাধীনতার পর উঠানের মধ্যে ক্লাব সমিতির ছেলেরা অথবা সমিতি থেকে টাকা দিয়ে বিবাহ শাদী দিয়ে দিত। ইদানীং দেখা যাচ্ছে ছেলের বাপকে মেয়ের বাপের পক্ষ থেকে ২০০, ৫০০, ১০০০ বরযাত্রীর খাবার পৌঁছে দিতে হবে মেয়ের বাপের ভিটা না থাকলেও। বিবাহের উপহার হিসেবে পুরো ঘর আসবাপপত্র দিয়ে সাজিয়ে দেয়া। লক্ষ টাকা হতে কোটি কোটি টাকাও খরচ হয়। এ প্রথা সাধারণ মানুষের পক্ষে বিরাট এক অভিশাপ। যৌতুক একটি মারাত্মক অভিশাপ। এ বিষয়ে আইন থাকলেও তা কার্যকর না করা অথবা আইন না থাকারই মতো। তাই যৌতুক গ্রহণকারীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এম এ সালাম

পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম।

ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন চাই

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন রেলস্টেশনের দিকে একটু সুদৃষ্টি দিয়ে নজর দিলে আমরা ছোট্ট ছোট্ট ছাউনিতে ছিন্নমূল মানুষদের বসবাস দেখতে পাই। শুধু ঢাকা শহর নয়। বিভাগীয় ও জেলা শহরে একই অবস্থা। কতোটা কষ্টে তারা সেখানে দিনাতিপাত করছে, সেখানে গিয়ে কেউ স্বচক্ষে না দেখলে ঠাহর করতে পারবে না। কতটুকু দুর্বিসহ তাদের জীবন! কেউ কেউ বউ বাচ্চা নিয়ে সেখানে বসবাস করছে। অনেকের জীবিকার প্রধান মাধ্যমে বলতে, রেলস্টেশনে বোতল কুড়িয়ে তা বিক্রি করে, কোনোমতে সামান্য আহারের ব্যবস্থা করা। পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে নেমে আসে অমানুষিক দুর্যোগ। তখন উপরওয়ালাকে স্মরণ করা ছাড়া কোনো পথ অবশিষ্ট থাকে না। হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার খরচটুকু করার সাধ্যটুকু তাদের নেই। অন্তর্র্ব‌ন্তীকালীন সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন থাকবে। আপনারা ঢাকাসহ সারাদেশে ছিন্নমূল মানুষদের উপর একটু দৃষ্টি দেন। তাদেরকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন।

মো. রবিন শাহ

শিক্ষার্থী

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে