সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
স্মরণীয়-বরণীয়

গ্রেগর জোহান মেন্ডেল

  ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
গ্রেগর জোহান মেন্ডেল
গ্রেগর জোহান মেন্ডেল

গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল বা গ্রেগর জোহান মেন্ডেল (২০ জুলাই, ১৮২২ - ৬ জানুয়ারি ১৮৮৪) ছিলেন একজন অস্ট্রিয়ার জীববিজ্ঞানী, ধর্মযাজক, আবহাওয়াবিদ ও গণিতজ্ঞ- যার আবিষ্কারগুলো জেনেটিক্স ও বংশগতি বিজ্ঞানের ভিত্তি তৈরি করেছিল, তাই তাকে প্রায়শই 'জেনেটিক্সের জনক' বা 'জিনতত্ত্ববিদ্যার জনক' বলা হয়। মেন্ডেল অস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্যের তথা বর্তমান চেকোশ্লোভাকিয়ার অন্তর্ভুক্ত হাইনিস নামক স্থানে এক জার্মান-ভাষী সাধারণ কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং আধুনিক বিজ্ঞানে জেনেটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মরণোত্তর স্বীকৃতি লাভ করেন। যদিও কৃষকরা সহস্রাব্দ ধরে জানত যে প্রাণী ও উদ্ভিদের ক্ষেত্রে সংকরায়ন বা ক্রসব্রিডিং-এ কিছু কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্যের পক্ষে হতে পারে, মেন্ডেল কর্তৃক তার মটর গাছের পরীক্ষা ১৮৫৬ এবং ১৮৬৩ সালের মধ্যে পরিচালিত হয়- যা বংশগতির অনেক সূত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল- যা এখন মেন্ডেলীয় বংশগতির সূত্র হিসেবে উলেস্নখ করা হয়। মেন্ডেল বিদ্যালয় শিক্ষার পর উচ্চশিক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে অধ্যয়ন শুরু করেন, কিন্তু আর্থিক কারণে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। পরে তিনি মাত্র একুশ বছর বয়সে ব্রানে এক গির্জায় ধর্মযাজক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে ১৮৫১ খ্রিষ্টাব্দে ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য যান এবং ১৮৫১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সেখানে পদার্থবিদ্যা, গণিত ও প্রকৃতিবিজ্ঞান অধ্যয়ন করেন। ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ব্রানে ফিরে আসেন ও একটি বিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা ও প্রকৃতিবিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। মেন্ডেল বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে পড়াশোনায় ততটা উলেস্নখযোগ্য সাফল্য দেখাতে পারেননি তথাপি এই সময়কালের অনুশীলন তাকে তার পরবর্তীকালের গবেষণায় বিশেষভাবে সাহায্য করেছিল। মেন্ডেল মটর গাছের সাতটি বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করেছিলেন, যথাক্রমে গাছের দৈর্ঘ্য, ফুলের রং, ফুলের অবস্থান, বীজের আকার, বীজপত্রের রং, শুঁটির আকার এবং কাঁচা শুঁটির রং। একটি উদাহরণ হিসেবে বীজের রং গ্রহণ করে মেন্ডেল দেখিয়েছিলেন যে, যখন একটি খাঁটি প্রজননকারী হলুদ বর্ণের মটর এবং একটি খাঁটি প্রজননকারী সবুজ বর্ণের মটরকে সংকরায়ন করা হয় তখন তাদের সন্তানরা সর্বদা হলুদ বর্ণের হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে