সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর:
১. খাদ্য কী?
উত্তর:যেসব দ্রব্য গ্রহণ করলে দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন, রক্ষণাবেক্ষণ, তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে দেহকে সুস্থ, সবল, রোগমুক্ত ও কার্যক্ষম রাখে সে সব দ্রব্যকে খাদ্য বলে।
২. ছয়টি খাদ্য দল কী কী?
উত্তর:৬টি খাদ্য দল হলো-
(র) শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট
(রর) আমিষ বা প্রোটিন
(ররর) স্নেহ পদার্থ বা ফ্যাট
(রা) ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ।
(া) খনিজ লবণ
(ার) পানি
৩. খাদ্যের প্রধান তিনটি উপাদান কী কী?
উত্তর:খাদ্যের প্রধান তিনটি উপাদান হলো- শর্করা, আমিষ ও স্নেহ পদার্থ।
৪. সুষম খাদ্য কাকে বলে?
উত্তর:যেসব খাদ্যে সব কয়টি খাদ্য উপাদান সঠিক অনুপাতে থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলে।
৫. সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর:দেহের বৃদ্ধি ও বিকাশ স্বাভাবিক রাখতে এবং কর্মক্ষমতা বাড়াতে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন।
৬. সুষম খাদ্য তৈরি হয় কয়টি উপাদান দিয়ে?
উত্তর:সুষম খাদ্য তৈরি হয় ছয়টি উপাদান দিয়ে।
৭. কীভাবে আমরা সুষম খাদ্য পেতে পারি?
উত্তর:যেসব খাদ্য শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি এ ছয়টি খাদ্য উপাদান নির্দিষ্ট অনুপাতে থাকে সেসব খাদ্য বয়স ও কাজের ধরন অনুযায়ী প্রতিদিন গ্রহণ করে আমরা সুষম খাদ্য পেতে পারি।
৮. কোন কোন খাদ্যে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়?
উত্তর:মিষ্টি, জেলি, চকোলেট, আইসক্রিম, কেক, চিপস, কোমল পানীয় ইত্যাদি খাদ্যে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়।
৯. প্রধান তিনটি খাদ্য উপাদান কী কী?
উত্তর:প্রধান তিনটি খাদ্য উপাদান হচ্ছে- শর্করা, আমিষ ও স্নেহ পদার্থ।
১০. খাদ্য আমাদের কীভাবে কাজে লাগে?
উত্তর: খাদ্য দেহের গঠন, বৃদ্ধি সাধন, ক্ষয়পূরণ ও তাপশক্তি জোগান দেয়।
১১. ধান, চাল কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়?
উত্তর:ধান, চাল রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়।
১২. লবণ, চিনি, সিরকা ও তেল খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তর:লবণ, চিনি, সিরকা ও তেল খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহার করা হয়, কারণ এদের মধ্যে পচনকারী জীবাণু জন্মাতে পারে না।
১৩. খাদ্যে মেশানো হয় এমন দুটি ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্যের নাম লেখো।
উত্তর:খাদ্যে মেশানো হয় এমন দুটি ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্যের নাম হচ্ছে ফরমালিন ও ক্যালসিয়াম কারবাইড।
১৪. খাদ্য সংরক্ষণের ৩টি উপায় বর্ণনা করো।
উত্তর:খাদ্য সংরক্ষণের ৩টি উপায় হলো-
(র) রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ
(রর) হিমাগারে সংরক্ষণ
(ররর) বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ।
১৫. খাদ্য সংরক্ষণের উপকারিতা কী?
উত্তর: খাদ্য সংরক্ষণ অপচয় রোধ করে দ্রম্নত পচন থেকে খাদ্যকে রক্ষা করে। এ ছাড়া খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে মৌসুমি খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া যায় এবং তাকে দূরবর্তী এলাকায় সহজে খাবার সরবরাহ করা যায়।
১৬. মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদার পরিমাণ কম-বেশি হয় কিসের ভিত্তিতে?
উত্তর:মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদার পরিমাণ কম-বেশি হয় বয়স ও কাজের ধরনের ওপর ভিত্তি করে।
১৭. খাবারের কৃত্রিম রং শরীরে কী ক্ষতি করে?
উত্তর:খাবারের কৃত্রিম রং ক্যানসার রোগ, অমনোযোগিতা, অস্থিরতা ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
১৮. খাবারের রাসায়নিক পদার্থ শরীরে কী ক্ষতি করে?
উত্তর:খাবারের রাসায়নিক পদার্থ বৃক্ক ও যকৃতকে অকার্যকর করে এবং ক্যানসারের মতো রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
১৯. জাঙ্ক ফুডে কী কম থাকে?
উত্তর: জাঙ্ক ফুডে পুষ্টি উপাদান কম থাকে।
২০. জাঙ্ক ফুডে কী বেশি থাকে?
উত্তর: জাঙ্ক ফুডে চর্বি, লবণ ও চিনি উচ্চমাত্রায় থাকে।
২১. চাল, ডাল, কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়?
উত্তর: চাল, ডাল রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়।
২২. কোন খাবারে খাদ্য আঁশ নেই?
উত্তর: জাঙ্ক ফুডে কোনো খাদ্য আঁশ নেই।
২৩. জাঙ্ক ফুড কী?
উত্তর:জাঙ্ক ফুড হলো এক ধরনের কৃত্রিম সুস্বাদু খাবার, যাতে চর্বি, লবণ ও চিনি অধিক মাত্রায় থাকে।
২৪. খাদ্যে ব্যবহৃত স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর একটি রাসায়নিক পদার্থের নাম লেখো।
উত্তর:খাদ্যে ব্যবহৃত স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর একটি রাসায়নিক পদার্থ হলো ফরমালিন।
২৫. খাদ্যদ্রব্যকে আকর্ষণীয় করতে কী কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তর:খাদ্যদ্রব্যকে আকর্ষণীয় করতে কৃত্রিম রং ও রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়।
২৬: খাবারের পচন সৃষ্টিকারী একটি অণুজীবের নাম লেখো।
উত্তর:খাবারের পচন সৃষ্টিকারী একটি অণুজীব হলো ব্যাকটেরিয়া।
২৭: মৌসুমি খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া যায় কীভাবে?
উত্তর:খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে মৌসুমি মেশানো খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া যায়।
২৮: খাবারের কৃত্রিম রং মেশানো হয় কেন?
উত্তর:খাবারকে আকর্ষণীয় ও লোভনীয় করতে কৃত্রিম রং মেশানো হয়।
২৯: ফরমালিন কী?
উত্তর:ফরমালিন হলো খাবার সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত এক ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ।
৩০. কার্বাইড কী?
উত্তর:কার্বাইড হলো ফল পাকানোর জন্য ব্যবহৃত এক ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ।
৩১. দুটি জাঙ্ক ফুডের নাম লেখো।
উত্তর:দুটি জাঙ্ক ফুড হলো- বার্গার ও পটেটো চিপস।
৩২. জাঙ্ক ফুড খেলে কী সমস্যা হতে পারে?
উত্তর:জাঙ্ক ফুড খেলে পুষ্টিহীনতা, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি, মোটা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
৩৩. অহনা ১২ বছর বয়সের শিশু। সে জ্বরে দুর্বল হয়ে পড়লে ডাক্তার তাকে সুষম খাদ্যের একটি তালিকা অনুযায়ী খাদ্য খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। তার আমিষজাতীয় খাদ্য প্রতিদিন কতবার খেতে হবে?
উত্তর : ১-২ বার
৩৪. তুষারের বড় ভাই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করে। এ ক্ষেত্রে তুষারের ভাইয়ের কী সমস্যা হতে পারে?
উত্তর:ওজনজনিত
৩৫. পথশিশু সোহেল কাগজ কুড়ানোর কাজ করে। সব বেলা ঠিকমতো খাবার খেতে পায় না। বয়স অনুযায়ী তার উচ্চতা ও ওজন একেবারেই কম। সোহেলের উচ্চতা ও ওজন কম হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : অপুষ্টিতে স্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়নি বলে
৩৬. বর্ষাকালে শুকনো খাবারের প্রয়োজনে তুমি কীভাবে মুড়ি, খই, আমসত্ত সংরক্ষণ করবে?
উত্তর : উচ্চতাপে শুকিয়ে