শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্র

আতাউর রহমান সায়েম সহকারী শিক্ষক, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ য়
বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু
  ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

আবিষ্কার : বিনা তারে শব্দ প্রেরণের 'ক্রিস্টাল রিসিভার' নামক বেতার যন্ত্র তিনি আবিষ্কার করেন। তিনি বেশি পরিচিতি লাভ করেন 'গাছেরও প্রাণ আছে'- এ সত্য প্রমাণ করে। আবিষ্কার করেন গাছ বেড়ে ওঠার যন্ত্র 'ক্রেস্কোগ্রাফ'। এ ছাড়া গাছের দেহের উত্তেজনার বেগ মাপার যন্ত্র 'রিজোনাস্ট রেকর্ডার'। তার গবেষণার প্রধান ক্ষেত্র ছিল 'বিদু্যৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ' ও 'অদৃশ্য আলোকের ধর্ম'। তার এ সব নির্ভুল আবিষ্কারে চমৎকৃত হন বিজ্ঞানী আইনস্টাইন, বিজ্ঞানী ...অলিভার লজ ও লর্ড কেলভিন।

সাহিত্যকীর্তি : জগদীশচন্দ্র বসু বাংলাতেও বই লিখেছেন। তার লেখা 'নিরুদ্দেশের কাহিনী' বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি। 'অব্যক্ত' ও 'অদৃশ্য আলোক' তার আর একটি লেখা গ্রন্।

উপাধি লাভ : লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৯৬ সালে তাকে ডিএসসি (উড়পঃড়ৎ ড়ভ ঝপরবহপব) ডিগ্রি প্রদান করে। এরপর ভারত সরকার 'নাইট' ও ব্রিটিশ সরকার সিএসই উপাধি দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৩৫ সালে তাকে ডিএসসি ডিগ্রি প্রদান করে। বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চার ক্ষেত্রে তার সফলতা ছিল গ্যালিলিও নিউটনের সমকক্ষ।

উপসংহার : স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ১৯১৭ সালের ৩০ নভেম্বর কলকাতায় 'বসু বিজ্ঞান মন্দির' প্রতিষ্ঠা করেন। মৃতু্যর পূর্ব পর্যন্ত তিনি সেখানে গবেষণা পরিচালনা করেন। এই সফল বিজ্ঞানী ও বাঙালির গৌরব ১৯৩৭ সালের ২৩ নভেম্বর গিরিডিতে মৃতু্যবরণ করেন। তিনি মারা গেলেও পৃথিবীর প্রায় সব মানুষের মনে যুগ যুগ ধরে অমর হয়ে থাকবেন তার কৃতকর্মের জন্য। তাই কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'জীবন সঙ্গীত' কবিতার ভাষায় আমাদের বলতে ইচ্ছা করছে-

'মহাজ্ঞানী মহাজন,

যে পথে করে গমন,

হয়েছেন প্রাতঃস্মরণীয়,

সেই পথ লক্ষ্য করে,

স্বীয় কীর্তি ধ্বজা ধরে

আমরাও হব বরণীয়।'

ঘাসফুল

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।

১) ঘাসফুলগুলো কোন কোন রঙের হয়?

উত্তর : ঘাসফুলগুলো লাল, নীল ও সাদা রঙের হয়।

২) ঘাসফুলেরা হাওয়াতে মাথা দোলায় কেন?

উত্তর : ঘাসফুলেরা আনন্দে বেঁচে থাকতে ভালোবাসে। হাওয়াতে মাথা দুলিয়ে তারা তাদের মনের আনন্দকে প্রকাশ করে।

৩) ঘাসফুলেরা কীভাবে হেসে ওঠে?

উত্তর : সকালে সূর্যের আলোয় চারদিকে আলোকিত হয়। নানা রঙের ঘাসফুলগুলোও তখন ঝকমক করে ওঠে। দেখে মনে হয়, সূর্যের কিরণ লেগেছে বলে তারা যেন হাসছে।

৪) ঘাসফুলদের প্রতি আমরা কেমন আচরণ করব? কেন?

উত্তর : ঘাসফুলদেরও প্রাণ রয়েছে। তাই আমরা তাদের ছিঁড়ে কষ্ট দেবো না। ঘাসফুলের আনন্দময় জীবন দেখে আমরা জীবনকে উপভোগ করতে শিখব।

৫) হাওয়াতে কারা মাথা দোলাচ্ছে?

উত্তর : ঘাসফুলেরা হাওয়াতে মাথা দোলাচ্ছে।

৬) ঘাসফুল আমাদের কাছে কী মিনতি করছে? কেন করছে?

উত্তর : ঘাসফুলদের আমরা যেন ছিঁড়ে বা পায়ে দলে কষ্ট না দিই আমাদের কাছে ঘাসফুল এই মিনতি করেছে। গাছে ফুল ফুটলে তা গাছেই সুন্দর মানায়। তাই গাছ থেকে ফুল ছেঁড়া উচিত নয়। গাছে ফোটা ফুলের সৌন্দর্য দেখে আমরা যেন আনন্দ পাই আর ফুল বা ফুলগাছকে যেন কষ্ট না দিই সেই মিনতি করেছে ঘাসফুলরা।

৭) ঘাসফুল কার সঙ্গে নিজেকে তুলনা করেছে? কীভাবে তুলনা করেছে?

উত্তর : ঘাসফুল নিজেকে ধরার বুকের স্নেহ-কণার লাল-নীল-সাদা হাসি হিসেবে তুলনা করেছে। পৃথিবীর বুকে ঘাসেরা যেন স্নেহের ছোট ছোট বিন্দু হিসেবে বেড়ে ওঠে। সে ঘাসে যে রংবেরঙের ফুল ফোটে, তাদের দেখে যেন মনে হয় ঘাসের মুখে লেগে থাকা লাল-নীল-সাদা হাসির ঝলকানি।

৮) ফুল মানুষকে কীভাবে আনন্দ দেয়?

উত্তর : ফুল প্রকৃতির এক বিস্ময়। এর সৌন্দর্য তুলনাহীন। ফুলের সুগন্ধে আমাদের মন ভরে যায়। ফুল তার সৌন্দর্য ও সুবাস দিয়ে মানুষকে আনন্দ দেয়।

৯) ঘাসফুলেরা কী শোনে?

উত্তর : ঘাসফুলেরা রূপকথা আর নীল আকাশের বাঁশি শোনে।

১০) ঘাসফুলেরা হাওয়াতে কী করে? আকাশে তারা ফুটলে ঘাসফুলেরা কী করে?

উত্তর : ঘাসফুলেরা হাওয়াতে মাথা দোলায়। আকাশে তারা ফুটলে ঘাসফুলেরা রূপকথা ও নীল আকাশের বাঁশি শুনতে শুনতে শান্ত বাতাসে দোলে।

১১) লাল-নীল-সাদা হাসি বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? সূর্যের আলো ফুটে উঠলে

ঘাসফুলেরা কী করে?

উত্তর: লাল-নীল-সাদা হাসি বলতে ঘাসফুলদের বোঝানো হয়েছে।সূর্যের আলো ফুটলে ঘাসফুলেরা সেই আলোতে যেন হেসে ওঠে আর মনের আনন্দে মাথা নাড়িয়ে দুলতে থাকে।

পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।

গাছপালা আমাদের পরম বন্ধু। আমাদের প্রাত্যহিক প্রয়োজন মেটাতে গাছের অবদান অনস্বীকার্য। গাছ থেকেই আমরা পাই খাদ্য, বস্ত্র তৈরির উপাদান, বাসগৃহ ও আসবাবপত্র নির্মাণের কাঠ। গাছ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য অক্সিজেনের জোগান দেয়। আমরা নিঃশ্বাসের সঙ্গে যে বিষাক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করি তা গাছ গ্রহণ করে পরিবেশ দূষণ রোধ করে। বৃক্ষ ঝড় ও বন্যা প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে। একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় দেশের মোট আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি প্রয়োজন হলেও আমাদের আছে মাত্র ১৭ ভাগ। যা আছে তাও মানুষের লোভের কারণে দ্রম্নত নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। অবাধে গাছ কেটে পর্যাপ্ত পরিমাণে গাছ না লাগালে আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হবে। তাই বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে