১. কবিতার মূলভাব জেনে নিই।
ঘাসফুল যে কী আনন্দে বেঁচে আছে, জীবনকে উপভোগ করছে সে-কথাই এখানে তারা নিজেরা বলছে। ফুল ছিঁড়ে, পায়ের নিচে পিষে ফেলে মানুষ তাদের কষ্ট যেন না দেয়- সেই মিনতি তারা করছে। গাছে ফুল ফুটলে তা দেখে আনন্দ পাওয়া চাই। ফুল ছেঁড়ার অর্থ ফুলকে মেরে ফেলা। গাছের যেমন প্রাণ আছে, ফুলেরও তেমনই প্রাণ আছে।
২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
দোলাই - নাড়াই।
কিরণ - আলো।
ধরা - পৃথিবী।
তারারা - আকাশের তারকারাজি।
ফোটে ু প্রস্ফুটিত হয়, ফুটে ওঠে।
স্নেহ-কণা - মমতার পরশ।
রূপকথা - অসম্ভব কাল্পনিক কাহিনী।
৩. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
ক. ছোট ছোট ফুল হাওয়ায় - মাথা।
খ. সকালে সূর্যের ্ত ততটা তীব্র হয় না।
গ. ্ত বুকের স্নেহ-কণাগুলি ঘাস হয়ে ফুটে ওঠে।
ঘ. আঁধার আকাশে ্ত মিটিমিটি করে চায়।
ঙ. ফুলগাছে ফুল্ত।
চ. ্ত বই পড়তে অনেক ভালো লাগে।
ছ. মা ্ত দিয়ে আমাদের ভরে রাখেন।
উত্তর : ক. দোলায়; খ. কিরণ; গ. ধরার; ঘ. তারারা; ঙ. ফোটে; চ. রূপকথার; ছ. স্নেহ-কণা।
প্রশ্নের উত্তর লিখি-
১। ঘাসফুলগুলো কোন কোন রঙের হয়?
উত্তর : ঘাসফুলগুলো লাল, নীল ও সাদা রঙের হয়।
২। ঘাসফুলেরা হাওয়াতে মাথা দোলায় কেন?
উত্তর : ঘাসফুলেরা আনন্দে বেঁচে থাকতে ভালোবাসে। হাওয়াতে মাথা দুলিয়ে তারা তাদের মনের আনন্দকে প্রকাশ করে।
৩। ঘাসফুলেরা কীভাবে হেসে ওঠে?
উত্তর : সকালে সূর্যের আলোয় চারদিকে আলোকিত হয়। নানা রঙের ঘাসফুলগুলোও তখন ঝকমক করে ওঠে। দেখে মনে হয়, সূর্যের কিরণ লেগেছে বলে তারা যেন হাসছে।
৪। ঘাসফুলদের প্রতি আমরা কেমন আচরণ করব? কেন?
উত্তর : ঘাসফুলদেরও প্রাণ রয়েছে। তাই আমরা তাদের ছিঁড়ে কষ্ট দেবো না। ঘাসফুলের আনন্দময় জীবন দেখে আমরা জীবনকে উপভোগ করতে শিখব।
৫। হাওয়াতে কারা মাথা দোলাচ্ছে?
উত্তর : ঘাসফুলেরা হাওয়াতে মাথা দোলাচ্ছে।
৬। ঘাসফুল আমাদের কাছে কী মিনতি করছে? কেন করছে?
উত্তর : ঘাসফুলদের আমরা যেন ছিঁড়ে বা পায়ে দলে কষ্ট না দিই আমাদের কাছে ঘাসফুল এই মিনতি করেছে।
গাছে ফুল ফুটলে তা গাছেই সুন্দর মানায়। তাই গাছ থেকে ফুল ছেঁড়া উচিত নয়। গাছে ফোটা ফুলের সৌন্দর্য দেখে আমরা যেন আনন্দ পাই আর ফুল বা ফুলগাছকে যেন কষ্ট না দিই সেই মিনতি করেছে ঘাসফুল।
৭। ঘাসফুল কার সাথে নিজেকে তুলনা করেছে? কীভাবে তুলনা করেছে?
উত্তর : ঘাসফুল নিজেকে ধরার বুকের স্নেহ-কণার লাল নীল সাদা হাসি হিসেবে তুলনা করেছে।
পৃথিবীর বুকে ঘাসেরা যেন স্নেহের ছোট ছোট বিন্দু হিসেবে বেড়ে ওঠে। সে ঘাসে যে রং-বেরঙের ফুল ফোটে, তাদের দেখে যেন মনে হয় ঘাসের মুখে লেগে থাকা লাল, নীল, সাদা হাসির ঝলকানি।
৮। ফুল মানুষকে কীভাবে আনন্দ দেয়?
উত্তর : ফুল প্রকৃতির এক বিস্ময়। এর সৌন্দর্য তুলনাহীন। ফুলের সুগন্ধে আমাদের মন ভরে যায়। ফুল তার সৌন্দর্য ও সুবাস দিয়ে মানুষকে আনন্দ দেয়।
৯। ঘাসফুলেরা কী শোনে?
উত্তর : ঘাসফুলেরা রূপকথা আর নীল আকাশের বাঁশি শোনে।
১০। ঘাসফুলেরা হাওয়াতে কী করে? আকাশে তারা ফুটলে ঘাসফুলেরা কী
করে?
উত্তর : ঘাসফুলেরা হাওয়াতে মাথা দোলায়।
আকাশে তারা ফুটলে ঘাসফুলেরা রূপকথা ও নীল আকাশের বাঁশি শুনতে শুনতে শান্ত বাতাসে দোলে।
১১। লাল, নীল, সাদা হাসি বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? সূর্যের আলো ফুটে উঠলে ঘাসফুলেরা কী করে?
উত্তর : লাল নীল সাদা হাসি বলতে ঘাসফুলদের বোঝানো হয়েছে।
সূর্যের আলো ফুটলে ঘাসফুলেরা সেই আলোতে যেন হেসে ওঠে আর মনের আনন্দে মাথা নাড়িয়ে দুলতে থাকে।
৪. প্রশ্নগুলোর উত্তর মুখে বলি ও লিখি।
ক. হাওয়াতে কারা মাথা দোলাচ্ছে?
উত্তর : ঘাসফুলেরা হাওয়াতে মাথা দোলাচ্ছে।
খ. ঘাসফুল আমাদের কাছে কী মিনতি করছে? কেন করছে?
উত্তর : ঘাসফুলদের আমরা যেন ছিঁড়ে বা পায়ে দলে কষ্ট না দিই আমাদের কাছে ঘাসফুল এই মিনতি করেছে।
গাছে ফুল ফুটলে তা গাছেই সুন্দর মানায়। তাই গাছ থেকে ফুল ছেঁড়া উচিত নয়। গাছে ফোটা ফুলের সৌন্দর্য দেখে আমরা যেন আনন্দ পাই আর ফুল বা ফুলগাছকে যেন কষ্ট না দিই সেই মিনতি করেছে ঘাসফুল।
গ. ঘাসফুল কার সাথে নিজেকে তুলনা করেছে? কীভাবে তুলনা করেছে?
উত্তর : ঘাসফুল নিজেকে ধরার বুকের স্নেহ-কণার লাল, নীল, সাদা হাসি হিসেবে তুলনা করেছে।
পৃথিবীর বুকে ঘাসেরা যেন স্নেহের ছোট ছোট বিন্দু হিসেবে বেড়ে ওঠে। সে ঘাসে যে রং-বেরঙের ফুল ফোটে, তাদের দেখে যেন মনে হয় ঘাসের মুখে লেগে থাকা লাল, নীল, সাদা হাসির ঝলকানি।
ঘ. ফুল মানুষকে কীভাবে আনন্দ দেয়?
উত্তর : ফুল প্রকৃতির এক বিস্ময়। এর সৌন্দর্য তুলনাহীন। ফুলের সুগন্ধে আমাদের মন ভরে যায়। ফুল তার সৌন্দর্য ও সুবাস দিয়ে মানুষকে আনন্দ দেয়।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়