শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
  ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

জলবায়ু পরিবর্তন

প্রশ্ন: এসিড বৃষ্টি কী?

উত্তর : কার্বন ডাইঅক্সাইড, সালফারের অক্সাইড বৃষ্টির পানিতে মিশে বৃষ্টির পানিকে এসিডযুক্ত করে। একে এসিড বৃষ্টি বলে।

প্রশ্ন: 'গ্রিন হাউজ' বলতে কী বোঝায়?

উত্তর :শীত প্রধান দেশে তীব্র শীতে গাছপালা টিকতে পারে না সেখানে কাচের ঘর বানিয়ে সবুজ শাকসবজি চাষ করা হয় যাকে গ্রিন হাউজ বলে।

প্রশ্ন: সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণ কী?

উত্তর : সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন।

প্রশ্ন: গ্রিন হাউজ কী?

উত্তর :কাচের তৈরি ঘর।

প্রশ্ন: বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয় কোথা থেকে?

উত্তর :বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয় জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে।

প্রশ্ন: বায়ুমন্ডলের তাপ ধরে রাখার ঘটনাকে কী বলে?

উত্তর :বায়ুমন্ডলের তাপ ধরে রাখার ঘটনাকে গ্রিন হাউজ প্রভাব বলে।

প্রশ্ন: পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াকে কী বলে?

উত্তর :পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলে।

প্রশ্ন:পৃথিবীর চারদিকে কী ঘিরে আছে?

উত্তর :বায়ুমন্ডল পৃথিবীর চারদিকে ঘিরে আছে।

প্রশ্ন:গ্রিন হাউজ কীভাবে কাজ করে?

উত্তর :গ্রিন হাউজ সূর্যের তাপকে আটকে রেখে সবুজ উদ্ভিদ জন্মাতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন: চাঁদনী রাতে খাবার পর হাঁটাহাঁটি করতে শামসু বাসার বাইরে বের হলো। কিন্তু বাতাস বেশ উষ্ণ অনুভব করল। এর কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বায়ুমন্ডলের জলীয় বাষ্প ও কার্বন ডাইঅক্সাইড ভূপৃষ্ঠের বিকিরিত তাপ আটকে রাখে বলে রাতের বেলাও পৃথিবী বেশ উষ্ণ থাকে।

বায়ুমন্ডল হলো পৃথিবীকে ঘিরে থাকা বায়ুর স্তর। এই বায়ুমন্ডলের জলীয় বাষ্প ও কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস গ্রিন হাউজের কাচের দেয়ালের মতো কাজ করে। দিনের বেলায় সূর্যের তাপে ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়। রাতে ভূপৃষ্ঠ থেকে সেই তাপ বায়ুমন্ডলে ফিরে আসে এবং ভূপৃষ্ঠ শীতল হয়। কিন্তু কিছু তাপ বায়ুমন্ডলের জলীয় বাষ্প ও কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের কারণে আটকে পড়ে। ফলে রাতের বেলায়ও পৃথিবী উষ্ণ থাকে। একে বলে গ্রিন হাউজ প্রভাব। অর্থাৎ এই গ্রিন হাউজ প্রভাবের কারণেই শামসুর কাছে রাতের বাতাস বেশ উষ্ণ অনুভব হলো।

প্রশ্ন: তুমি কেন নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করবে? সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।

উত্তর : বায়ুমন্ডলে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের হারকে হ্রাস করতে আমি নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করব।

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রধান কারণ বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি। বিদু্যৎ উৎপাদন কেন্দ্র, কলকারখানা, যানবাহনে বিভিন্ন জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো হয়। এ থেকে বায়ুমন্ডলে প্রচুর পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়। কিন্তু নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে বিদু্যৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এতে প্রচুর পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানি সংরক্ষিত হবে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নও হ্রাস পাবে। এ জন্য আমাদের উচিত নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করা।

প্রশ্ন: বাস্তব ঘটনা থেকে কীভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব?

উত্তর : সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পরিমাপ করে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব।

পৃথিবীর মেরু অঞ্চলে ও পর্বতের চূড়ায় প্রচুর পরিমাণে বরফ জমা আছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে ওই বরফ গলে গিয়ে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভূ-উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি পর্যবেক্ষণ করলে মেরু অঞ্চলের সঞ্চিত বরফের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার ঘটনা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীদের ধারণা এভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা ও সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ পৃথিবীর অন্যান্য নিম্নভূমি পানিতে তলিয়ে যাবে। অর্থাৎ সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির বাস্তব ঘটনা থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব।

প্রাকৃতিক সম্পদ

সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :

প্রশ্ন: মানবসৃষ্ট সম্পদের ৫টি উদাহরণ দাও।

উত্তর : মানবসৃষ্ট সম্পদের ৫টি উদাহরণ নিম্নরূপ :

র. রাবার, রর. পস্নাস্টিক, ররর. কাচ, রা. কাগজ, া. ইট।

প্রশ্ন: অনবায়নযোগ্য সম্পদের ৩টি বিকল্প সম্পদের উদাহরণ দাও।

উত্তর : অনবায়নযোগ্য সম্পদের ৩টি বিকল্প সম্পদের উদাহরণ হলো :

র. সূর্যের আলো, রর. বায়ুপ্রবাহ; ররর. পানির স্রোত।

প্রশ্ন: আমরা কীভাবে প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করতে পারি?

উত্তর :শক্তির ব্যবহার কমিয়ে, বস্তুর পুনঃব্যবহার এবং রিসাইকেল করার মাধ্যমে আমরা প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করতে পারি।

প্রশ্ন: মানবসৃষ্ট সম্পদ কী?

উত্তর : মানুষের তৈরি সম্পদই হলো মানবসৃষ্ট সম্পদ।

প্রশ্ন: মানবসৃষ্ট সম্পদ কোথা থেকে আসে?

উত্তর : মানবসৃষ্ট সম্পদ প্রকৃতি থেকে আসে। যেমন- বালি থেকে কাচ তৈরি করা হয়। এখানে বালি প্রাকৃতিক সম্পদ কিন্তু কাচ মানবসৃষ্ট সম্পদ।

\হপরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে