বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
  ১১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

আমাদের অর্থনীতি : কৃষি ও শিল্প

প্রশ্ন : বাংলাদেশের একটি অর্থকরী কৃষিপণ্য সিলেট ও চট্টগ্রাম এলাকায় বেশি উৎপন্ন হয়। এ অর্থকরী কৃষিপণ্যটির নাম কী? কৃষিপণ্যটি সম্পর্কে চারটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লেখো।

উত্তর : এ অর্থকরী কৃষিপণ্যটির নাম চা। চা সম্পর্কে চারটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো-

১. চা রপ্তানি করে বাংলাদেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।

২. বর্তমানে দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলায়ও চা চাষ হচ্ছে।

৩. বিশেষ সুনাম থাকায় বিদেশে বাংলাদেশের চায়ের অনেক চাহিদা আছে।

৪. বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রশ্ন : কারখানায় কার্পেট, রশি, বস্তা তৈরি হয়। এগুলো তৈরিতে কী ব্যবহার করা হয়। উক্ত দ্রব্য সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো। উত্তর : কার্পেট, রশি, বস্তা তৈরিতে পাট ব্যবহার করা হয়। পাট সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-

১. কাঁচামাল হিসেবে পাট আমরা বিদেশে রপ্তানি করি।

২. পাটজাত বিভিন্ন পণ্যও বিদেশে রপ্তানি করা হয়।

৩. পাটকল নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, খুলনার দৌলতপুরসহ নদীতীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত।

৪. পরিবহণ সুবিধার কারণে পাটকলগুলো নদীতীরবর্তী অঞ্চলে স্থাপন করা হয়।

প্রশ্ন : পাট কী ধরনের ফসল? পাটের উৎপাদন কমছে কেন? পাটের উৎপাদন বাড়ানোর তিনটি উপায় লেখো।

উত্তর : পাট অর্থকরী ফসল। পাটের উৎপাদন কমার অন্যতম কারণ হলো- কৃষক পাটের ন্যায্যমূল্য পায় না বলে পাটের উৎপাদন কমছে। পাটের উৎপাদন বাড়ানোর তিনটি উপায় হলো-

১. উৎপাদিত পাটের জন্য কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রদান।

২. পাট দ্বারা উৎপাদিত পণ্যের ব্যবহার বাড়ানো।

৩. আন্তর্জাতিক বাজারে পাট দ্বারা উৎপাদিত পণ্যের প্রচার ও প্রসার ঘটানো।

প্রশ্ন : তামাক কী? তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করা প্রয়োজন কেন? তামাকের তিনটি ক্ষতিকর দিক লেখো।

উত্তর :তামাক বাংলাদেশের একটি অর্থকরী ফসল। তামাক মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তাই তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করা প্রয়োজন। তামাকের তিনটি ক্ষতিকর দিক হলো-

১. তামাক মানব শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে।

২. তামাকের মাধ্যমে বায়ু দূষিত হয়।

৩. এটি ব্যবহারে আমাদের সময় এবং অর্থের ক্ষতি হয়।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের প্রধান ফসল কোনটি? উক্ত ফসলটি কেন প্রধান হিসেবে বিবেচিত? ফসলটি সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখো। উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান ফসল ধান।

আমাদের প্রধান খাদ্য ভাত হওয়ায় ধান প্রধান ফসল হিসেবে বিবেচিত। ধান সম্পর্কে তিনটি বাক্য হলো-

১. বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলের জলবায়ু ধান চাষের উপযোগী।

২. ধান আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য।

৩. বাংলাদেশ আউশ, আমন ও বোরো এ তিন ধরনের ধান চাষ হয়।

প্রশ্ন : আমাদের দেশের উর্বর দো-আঁশ ও বেলে মাটি আলু চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী? উক্ত ফসলটি সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো।

উত্তর : আমাদের দেশের উর্বর দো-আঁশ ও বেলে মাটি আলু চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। আলু সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-

১. আলু একটি প্রয়োজনীর খাদ্য।

২. আমাদের দেশের গোলআলু ও মিষ্টিআলুর চাষ বেশি হয়।

৩. দেশে উৎপাদিত আলু দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে।

৪. দেশের চাহিদা মেটানোর পর উদ্ধৃত আলু দেশের বাইরে রপ্তানি করা হয়।

প্রশ্ন :কুটিরশিল্প কাকে বলে? চারটি কুটিরশিল্পের নাম লেখো। উত্তর :যখন কোনো পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়ি-ঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তাকে কুটিরশিল্প বলে।

চারটি কুটিরশিল্পের নাম হলো- ১. তাঁতশিল্প, ২. কাঠশিল্প, ৩. বাঁশ-বেতশিল্প, ৪. কাঁসাশিল্প।

প্রশ্ন : কুটিরশিল্প কাকে বলে? বৃহৎশিল্প ও ক্ষুদ্রশিল্পের মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখো।

উত্তর : যখন কোনো পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়ি-ঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তখন তাকে কুটিরশিল্প বলে।

১. বৃহৎ শিল্প বড় বড় কারখানায় অবস্থিত। অন্যদিকে ক্ষুদ্রশিল্প ছোট ছোট কারখানায় অবস্থিত।

২. বৃহৎশিল্পে মূলধন বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেশি। অন্যদিকে ক্ষুদ্রশিল্পে মূলধন বিনিয়োগের পরিমাণ কুটিরশিল্প অপেক্ষা বেশি।

৩. বাংলাদেশের বৃহৎশিল্পের মধ্যে পাটশিল্প, সারশিল্প, সিমেন্টশিল্প, কাগজশিল্প প্রভৃতি উলেস্নখযোগ্য। অন্যদিকে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রশিল্পের মধ্যে সাবানশিল্প, হোসিয়ারিশিল্প, রেশমশিল্প প্রভৃতি উলেস্নখযোগ্য।

প্রশ্ন : কুটিরশিল্প কী? বাংলাদেশে কুটিরশিল্পের প্রয়োজন কেন? তিনটি কুটিরশিল্পের নাম লেখো।

উত্তর : যখন কোনো পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়ি-ঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তাকে কুটিরশিল্প বলে। আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ বেকারত্ব নিরসনের জন্য বাংলাদেশে কুটিরশিল্পের প্রয়োজন।

কাঠশিল্প, ২. মৃৎশিল্প, ৩. কাঁসাশিল্প।

প্রশ্ন :পাট কী? পাটকে সোনালি আঁশ বলা হয় কেন? পাটের তিনটি ব্যবহার লেখো।

উত্তর :পাট এক প্রকার সোনালি আঁশ। পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এ জন্য বাংলাদেশে পাটকে সোনালি আঁশ বলা হয়। পাটের তিনটি ব্যবহার-

১. পাট দিয়ে তৈরীকৃত রশি পণ্যসামগ্রী ও অন্যান্য জিনিসপত্র বেঁধে রাখার কাজে ব্যবহৃত হয়।

২. পাটের তৈরি কার্পেট বাড়িতে, মসজিদ ও অফিস-আদালতে ব্যবহার করা হয়।

৩. পাট দিয়ে তৈরীকৃত বস্তা পণ্যসামগ্রী বহন করার কাজে ব্যবহৃত হয়।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে