বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

টাইপ রাইটার
শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
  ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

টাইপ রাইটার বা টাইপ মেশিন এমন একটি যন্ত্র যার সাহায্যে বোতাম টিপে কাগজে লেখা যায়। এটি যান্ত্রিক বা বৈদুতিন মেশিন যা প্রিন্টারের চলমান ধরণের দ্বারা উৎপাদিত অনুরূপ অক্ষরগুলো লেখার জন্য ব্যবহৃত একটি যন্ত্র। এই যন্ত্রটির সাহায্যে আমরা বর্ণ বা অক্ষর টাইপ করতে পারি। সাদা কাগজের ভাঁজে ভাঁজে কার্বন কাগজ রেখে রেখে এক সঙ্গে চার-পাঁচটি করে কপি টাইপ করা যায়। টাইপ করা অক্ষরগুলো ছাপার অক্ষরের মতো মনে হয়। হাতে লেখার চাইতে টাইপে লেখা দ্রুততর হয়।

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে, টাইপ রাইটার শব্দটি এমন একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হয়েছিল যিনি টাইপিং মেশিন ব্যবহার করেছিলেন।প্রথম বাণিজ্যিক টাইপ

রাইটারগুলি ১৮৭৪ সালে প্রর্বতিত হয়েছিল। তবে ১৮৮০

এর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত অফিসগুলিতে সাধারণ হয়ে ওঠে নি। টাইপ রাইটার দ্রুত ব্যক্তিগত হাতের লিখিত চিঠিপত্রের ব্যতীত অন্য সমস্ত লেখার জন্য একটি অনিবার্য সরঞ্জাম হয়ে ওঠে। এটি লেখক লেখার ক্ষেত্রে, অফিসে এবং ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়ের চিঠিপত্রের লেখার জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে থাকে। টাইপরাইটারগুলি ১৯৮০ এর দশক পর্যন্ত বেশিরভাগ অফিসে একটি স্ট্যান্ডার্ড ফিক্সিং ছিল। এরপরে, তারা কম্পিউটারগুলির মাধ্যমে বড় আকারে আরোপ করা শুরু করে। তবুও, বিশ্বের বিভিন্ন অংশে টাইপরাইটারগুলি সাধারণ রয়ে গেছে, কয়েকটি নির্দিষ্ট অ্যাপিস্নকেশনের জন্য প্রয়োজনীয়, এবং নির্দিষ্ট উপগোষ্ঠীতে এটি জনপ্রিয়।

টাইপরাইটারদের জন্য তৈরি ছডঊজঞণ কীবোর্ড লেআউটটি কম্পিউটার কীবোর্ডের মান হিসাবে রয়ে গেছে।

উলেস্নখযোগ্য টাইপরাইটার প্রস্তুতকারকদের মধ্যে - রেমিংটন অ্যান্ড সন্স, আইবিএম, গোদ্রেজ, ইম্পেরিয়াল টাইপরাইটার সংস্থা, অলিভার টাইপরাইটার সংস্থা, অলিভটি, রয়েল টাইপরাইটার সংস্থা, স্মিথ করোনা, আন্ডারউড টাইপরাইটার সংস্থা, অ্যাডলার টাইপরাইটার সংস্থা এবং অলিম্পিয়া ওয়ার্ক অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রথম উদ্ভাবিত টাইপ রাইটারে বিদ্যুতের ব্যবহার ছিলনা। পরবর্তীতে বৈদ্যুতিক টাইপ রাইটার আবিষ্কৃত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন যন্ত্র প্রকৌশলী ক্রিস্টোফার শোল। ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম আধুনিক ধাঁচের

টাইপ রাইটার নির্মাণ করেন। ১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দে রেমিংটন রান্ড কোম্পানি সাধারণ মানুষের জন্য শোল; অ্যান্ড গিস্নডেন; ব্র্যান্ডের প্রথম টাইপরাইটার বাজারজাত করে। পরবর্তীকালে বাজারে আসে আরো উন্নত ধরনের অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক টাইপ রাইটার। টাইপ রাইটারের প্রযুক্তিতেই উন্নতভাবে কাগজে ঝকঝকে ছাপা পাওয়া যায়। টাইপরাইটারের উন্নতি বর্তমান যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে গুরুত্বপূর্ণভাবে সাহায্য করেছে। আমাদের জীবনের প্রতি পদক্ষেপেকে সে প্রভাবন্বিত করেছে। যদিও দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে এই যন্ত্রটির ব্যবহার এখন নেই বললেই চলে। বর্তমান বিশ্বে টাইপ রাইটারের ব্যবহার প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। মূলত, কম্পিউটারের কী-বোর্ডের নকশা কিন্তু টাইপ রাইটার থেকেই নেওয়া। সুতরাং টাইপ রাইটার হচ্ছে কম্পিউটার চালানোর প্রথম ধাপ। কম্পিউটার পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছে টাইপরাইটারের পরিবর্তে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে