ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান ড. আ আ ম স আরেফীন সিদ্দিক বলেন, করোনায় ক্ষতি হওয়া সবচেয়ে বড় সেক্টর হলো শিক্ষা। অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়তো পরবর্তীতে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু শিক্ষার চলতি বছরের ব্যাচটি যে ক্ষতির শিকার হয়েছে তা ভবিষ্যতে পোষানো সম্ভব না। তিনি বলেন, শিক্ষায় লটারি, অটো পাস এগুলো অপ্রাসঙ্গিক। তারপরও বর্তমান পরিস্থিতিতে হ এর কোনো বিকল্প ছিল না। লটারি ও অটো পাস করা শিক্ষার্থীরাও স্বস্তিতে নেই। তারা সারাজীবন এটি বয়ে বেড়াবে। বড় প্রশ্ন হলো, এই পদ্ধতিতে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীরা কতটা যোগ্য তাও একটি বড় প্রশ্ন। বিনা পরিশ্রমে অনেক শিক্ষার্থী ভাগ্যের জোরে পরের ক্লাসে ভর্তি হয়ে যাবে কিংবা তার মেধার তুলনায় অনেক ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাবে তাতে কি সে সন্তুষ্ট। মোটেও না। তাই এ বৈশ্বিক সমস্যার পর শিক্ষার এ ক্ষতি উত্তরণে বিশেষভাবে কাজ করতে হবে। সংক্ষিপ্ত মূল্যায়নের মাধ্যমে তাদের সমস্যা ও ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা ভালো দিক। তবে ঘাটতিগুলো যাতে পরবর্তীতে পূরণ হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। সেজন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে। রিকভারি প্রোগ্রাম হাতে নিতে পারে।
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd