শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টিকে থাকার চ্যালেঞ্জে মুদ্রণ শিল্প

ছাপার কাগজের সঙ্গে প্রিন্টিং কালি, কেমিক্যাল ও পেস্নটের দাম বাড়তে থাকায় পত্রিকার ভবিষ্যৎ ফিকে হতে শুরু করেছে
সাখাওয়াত হোসেন
  ২৮ মে ২০২২, ০০:০০
আপডেট  : ২৮ মে ২০২২, ০৯:১৯

করোনার ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই ফের ছাপার কাগজের সঙ্গে প্রিন্টিং কালি, কেমিক্যাল ও পেস্নটের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকায় পত্রিকার ভবিষ্যৎ ফিকে হতে শুরু করেছে। নতুন করে বেশকিছু পত্রিকা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। খরচ কুলাতে না পেরে কোনো কোনো পত্রিকা আগের তুলনায় অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে অনেক কম ছাপিয়ে নিয়মিত প্রকাশনার ধারা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। বেশকিছু পত্রিকা তাদের সার্কুলেশন বড় ধাপে কমিয়ে এনেছে। কোনো কোনো পত্রিকা পাতা কমিয়ে খরচ সমন্বয়ের চেষ্টা করছে। এদিকে কাগজ ও প্রিন্টিং কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের উচ্চ মূল্য বৃদ্ধির বড় ধাক্কা মুদ্রণ শিল্পের পাশাপাশি প্যাকেজিং খাতেও লেগেছে। মন্দার ঢেউ সামাল দিতে না পেরে এ দুটি শিল্পের ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা অনেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে এ খাতের বিপুল সংখ্যক শ্রমিক এরইমধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। যা আগামীতে আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। দাম বাড়ার জন্য পেপার মিল মালিক ও আমদানিকারকরা নানা যুক্তি তুলে ধরলেও মুদ্রণ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ভিন্ন কথা বলছেন। তাদের অভিযোগ, অসাধু মিল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে দেশি নিউজপ্রিন্টের বাজার অস্থির হয়ে পড়েছে। গত ছয় মাসে দেশি ছাপার কাগজের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। মান ভেদে এক সপ্তাহের ব্যবধানে টনপ্রতি দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। ফলে সংবাদপত্র ও প্রকাশনা শিল্পের ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। শিক্ষার অন্যতম উপকরণ কাগজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় নিউজপ্রিন্টের মূল্য নিয়ন্ত্রণে নীতিগত সহায়তা বাড়ানো জরুরি। তা না হলে প্রকাশনা ও মুদ্রণ শিল্প আরও গভীর সংকটের মধ্যে পড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। দেশের প্রথম সারির একটি জাতীয় দৈনিকের সহকারী ব্যবস্থাপক (অ্যাকাউন্টস) রইস উদ্দিন আহমেদ জানান, গত বছরের নভেম্বরে প্রতিটন দেশি কাগজের দাম ছিল ৪৫ হাজার টাকা। যা পরের মাসে বেড়ে ৫০ হাজার টাকায় এসে দাঁড়ায়। একই মানের কাগজ বর্তমানে বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতিটন ৭৭ হাজার টাকায়। অর্থাৎ গত ছয় মাসে দেশি ছাপার কাগজের দাম বেড়েছে প্রতিটনে ৩২ হাজার টাকা। আমদানিকৃত ফরেন পেপার নভেম্বরে প্রতিটন ৮৬ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বাজারে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ হিসাবে আমদানিকৃত নিউজপ্রিন্টের দাম প্রতিটনে ৫৯ হাজার টাকা বেড়েছে। এছাড়া প্রিন্টিং কাজে ব্যবহৃত কালো কালি আগে প্রতি পাউন্ড ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। রঙিন কালির দামও অনেকটা একই হারে বেড়েছে। প্রিন্টিং কেমিক্যাল 'ওয়াস' প্রতি পাউন্ড আগে ১৭০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ২৪০ টাকা পাউন্ড দরে কিনতে হচ্ছে। ২০০ টাকার গামের দাম প্রতি পাউন্ডে ২৫ টাকা বেড়েছে। প্রিন্টিং পেস্নট আগে প্রতি পিস ১৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মূল্য বৃদ্ধির এ হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত ছয় মাসে দেশি কাগজের দাম বেড়েছে ৪১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আমদানিকৃত ফরেন পেপারের দাম ৪০ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া মুদ্রণ কাজে ব্যবহৃত পেস্নটের দাম ২৬ দশমিক ৩১ শতাংশ, কালির দাম ২৩ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং অন্যান্য কেমিক্যালের দাম গড়ে প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা অস্বাভাবিক বলে মুদ্রণ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। অভিযোগ রয়েছে, নিউজপ্রিন্ট মিল মালিকদের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট ইচ্ছামতো কাগজের দাম বাড়াচ্ছে। কাঁচামালের সংকটের কথা বলে বর্তমানে নিউজপ্রিন্টের দাম বাড়ানো হলেও এর সরবরাহ প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে। পেপার মিলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, নিউজপ্রিন্টের প্রধান কাঁচামাল দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেই সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। পুরাতন অব্যবহৃত কাগজ, বই, পুস্তক ও প্রধানত পুরনো পত্রিকা রি-সাইক্লিং করে কাঁচামাল তৈরি করা হয়। নিউজপ্রিন্ট তৈরির জন্য কিছু পাল্প ও উপকরণ বাইরে থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। এর বাইরে আর তেমন কিছু প্রয়োজন হয় না। এ অবস্থায় দেশীয় নিউজপ্রিন্টের আকাশচুম্বী দাম বাড়ার তেমন কোনো কারণ নেই। তবে পেপার মিল মালিক কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনাকালীন সময় থেকেই বেশিরভাগ পত্রিকা তাদের মুদ্রণ কমিয়ে দিয়েছে। পাতার সংখ্যাও কমানো হয়েছে। ছোট ছোট বেশকিছু পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে পুরানো পত্রিকার সরবরাহ অনেক কম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিভাবকরা তাদের সন্তানের জন্য নতুন বই না কিনে নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন মার্কেট থেকে পুরানো বই কিনছেন। তাদের ব্যবহৃত বই পুরানো কাগজ হিসেবে বিক্রি করছেন না। ওয়েস্টেজ কার্টনও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে রি-সাইক্লিং কাঁচামাল জোগাড় করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ডলারের দাম বাড়ায় আমদানিকৃত পাল্প ও অন্যান্য উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারণে কাগজ উৎপাদনে খরচ বেশি হচ্ছে। অতিরিক্ত খরচ সমন্বয় করতেই তাদের কাগজের দাম বাড়াতে হয়েছে বলে দাবি করেন মিল মালিকরা। তবে তাদের এ দাবি আংশিক সত্য হলেও পুরোপুরি নয় বলে দাবি করেন নিউজ প্রিন্ট ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, নিউজ পেপার মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে কাগজের বাজারে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। মূলত সরকারের নজরদারি না থাকায় তারা এ সুযোগ নিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ ফজলুর রহমান যায়যায়দিনকে বলেন, মিল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে নিউজপ্রিন্টের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। অথচ সরকার এ সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না। দেশের বৃহত্তম কাগজের মার্কেট হিসেবে খ্যাত রাজধানীর নয়াবাজার, নওয়াব ইউসুফ রোড এবং জিন্দাবাহার লেনের বেশ কয়েকজন ডিলার, এজেন্ট ও পরিবেশক অভিযোগ করেন, মিল মালিকরা অনৈতিকভাবে অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করার পাশাপাশি কাগজের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে বছরের এ সময় নিউজপ্রিন্টের চাহিদা কম থাকার কথা থাকলেও করোনা পরবর্তী দীর্ঘদিন পর স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোদমে ক্লাস শুরু হওয়ায় এবার এর ব্যতিক্রম দেখা দিয়েছে। আর পেপার মিল মালিকরা এ সুযোগই নিচ্ছে। তাদের নিয়ন্ত্রণে কোনো সংস্থা না থাকায় ডিলার, পাইকার, প্রকাশক, সর্বোপরি সাধারণ ভোক্তারা বিপাকে পড়েছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় সারির একাধিক পত্রিকার বিজ্ঞাপন ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বিপণন সংস্থাগুলো এখন আর আগের মতো পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিচ্ছে না। কেননা ইদানীং পাঠকদের একটি বড় অংশ প্রিন্টেড পত্রিকা থেকে সরে এসে অনলাইনেই এক স্ক্রিনেই সব পত্রিকা পড়ছে। তাই অনেক প্রতিষ্ঠান এখন ছাপার পত্রিকার চেয়ে অনলাইন পত্রিকাতে বিজ্ঞাপন দেওয়া লাভজনক মনে করছে। এ পরিস্থিতিতে পত্রিকার আয়ের অন্যতম প্রধান উৎসের পথ অনেকটাই সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। এর উপর কাগজ ও প্রিন্টিং পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে তারা এখন দিশেহারা। সরগরম ব্যবসার পরিবর্তে তারা এখন প্রকাশনা টিকিয়ে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় গুটিকয়েক পত্রিকা এরইমধ্যে প্রিন্টিং মাধ্যম থেকে সরে এসে শুধুমাত্র অনলাইন নির্ভর হয়ে উঠেছে। প্রথম সারির যেসব পত্রিকার নিজস্ব অত্যাধুনিক প্রেস রয়েছে, তাদের অনেকে আগের মতো বিপুল সংখ্যক পত্রিকা না ছাপানোর কারণে সংকটে পড়েছে। ব্যয় সামাল দিতে এসব প্রেসে অন্য পত্রিকা ছাপানো হচ্ছে। কোনো কোনো প্রেস পাঠ্যবই, নোটবুক ও গাইড বইসহ অন্যান্য পুস্তিকা ছাপানোর কাজ চালাচ্ছে। শত শত কোটি ডলার ব্যয় করে আনা ছাপাখানার বড় বড় যন্ত্রগুলো বন্ধ করতে অনেকে এতদিন দ্বিধায় থাকলেও চলমান পরিস্থিতিতে তা কমতে শুরু করেছে। সংবাদপত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশীয় নিউজপ্রিন্টই প্রকাশনা শিল্পের সবচেয়ে বড় ভরসা। অথচ গত কয়েক মাস ধরে যেভাবে প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে তাতে সংবাদপত্র শিল্পের প্রকাশনা ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে। অচিরেই নিউজপ্রিন্টের দাম কমাতে সরকারি পদক্ষেপ প্রয়োজন। তা না হলে সংবাদকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক প্রেস কর্মকর্তা-কর্মচারী ও টেকনিশিয়ান কর্মহীন হয়ে পড়বে। উলেস্নখ্য, বর্তমানে দেশীয় সংবাদপত্রে ৪৫ জিএসএম'র (স্ট্যান্ডস ফর গ্রামস পার স্কোয়ার মিটার) নিউজপ্রিন্ট ব্যবহার হচ্ছে। দেশি নিউজপ্রিন্ট হয় ৪৮ থেকে ৫০ জিএসএম'র। ফলে প্রতি কেজি কাগজে পত্রিকার উৎপাদন কম হয়। ১ কেজি বিদেশি কাগজে ২৪ পৃষ্ঠার একটি পত্রিকার ৮ থেকে ৯টি কপি ছাপানো যায়, সেখানে দেশি কাগজে হয় ৬ থেকে ৭টি। এভাবে ১ কেজি কাগজে দুটি করে পত্রিকার কপি কম ছাপা হয়। এতে সংবাদপত্র শিল্পের ব্যয়ও বাড়ছে। আবার কাগজের মান খারাপ হওয়ায় রঙিন ছাপার মানও খারাপ হচ্ছে। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সারা দেশে এখন সর্বমোট ৬২৪টি সংবাদপত্র রয়েছে। এর মধ্যে দৈনিক পত্রিকা ৪৭৯টি, যার ২০৩টি ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়। বাকি ২৭৬টি প্রকাশিত হয় মফস্বল থেকে। আর ৯৯টি সাপ্তাহিক পত্রিকার মধ্যে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় ৬৩টি। ২০টি পাক্ষিক পত্রিকার মধ্যে ১৬টি ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়। ২৪টি মাসিক পত্রিকার ২১টি ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়। সব মিলিয়ে ঢাকা থেকে ৩০৪টি ও মফস্বল থেকে ৩২০টি পত্রিকা প্রকাশ হওয়ার তথ্য মিলেছে। এদিকে নিউজপ্রিন্টসহ সব ধরনের কাগজের দাম বাড়ায় ব্যয় বেড়েছে শিক্ষা উপকরণেও। ফলে চাপে পড়েছেন অভিভাবকরা। এক্ষেত্রে সরকারের কোনো তদারকি না থাকায় দেশের কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে জিম্মি সংবাদপত্র শিল্প ও সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় এ খাতের উদ্যোক্তা থেকে আমদানিকারকদের একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যথায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবেন-এমন শঙ্কা তাদের। সংশ্লিষ্টরা জানান, চীন, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া থেকে বেশি কাগজ আমদানি হয়। এসব দেশে কাগজ উৎপাদনের মূল কাঁচামালের (পাল্প) দাম বেড়েছে। ফলে কাগজের দামও বাড়তি। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার সুযোগ নিয়েছেন দেশের মিল মালিকরা। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে দাম বাড়িয়েছেন। অর্থাৎ সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হয়েছে। কাগজের দাম বাড়ায় বই উৎপাদনের খরচও বেড়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের তৈরি খাতার দাম বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। সেই সঙ্গে বেড়েছে চিকিৎসাবিদ্যা, প্রকৌশল শিক্ষা ও আইনের বইয়ের দামও। বিভিন্ন বিদেশি লেখকের মূল বই বাজারে আর পাওয়াই যাচ্ছে না। ফটোকপি বইয়ের দাম বেড়েছে গড়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এহসানুল করিম বলেন, পাঠ গ্রহণের প্রয়োজনে তাদের বিভিন্ন রেফারেন্স বুক ও নোট ফটোকপি করতে হয়। গত এক মাসে ফটোকপি ব্যয় বেড়ে গেছে। ফটোকপির দোকানদাররা বলেন, কালি ও কাগজের দাম বাড়ায় তাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে