করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৯৩৩ জন গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন। একই সময় মারা গেছেন ২ জন। এ নিয়ে মৃতু্যর সর্বমোট সংখ্যা দাঁড়াল ২৯ হাজার ৩০২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৩ জন।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রশাসন অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৮০টি পরীক্ষাগারে ৪ হাজার ৯৭০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছুসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ হাজার ২টি নমুনা। এসব পরীক্ষায় ২৫৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৬ হাজার ৮৯৯ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের
হার দাঁড়িয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ০৬ শতাংশ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭১ ভাগ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ০০ ভাগ। এ ছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় মৃতু্যর হার এক দশমিক ৪৬ ভাগ।
করোনায় ২ জন পুরুষ গেছেন। তাদের বয়স চলিস্নশোর্ধ্ব ১ ও ষাটোর্ধ্ব ১ জন। মৃতের বাড়ি রাজশাহী ও ময়মনসিংহ। সরকারি হাসপাতালে ২ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এদিকে করোনায় এখন পর্যন্ত মোট মৃতদের ১৮ হাজার ৭০৫ জন পুরুষ মারা গেছেন। যা মোট মৃতু্যর ৬৩ দশমিক ৮৩ ভাগ। ১০ হাজার ৫৯৭ জন নারী মারা গেছেন। যা মোট মৃতু্যর ৩৬ দশমিক ১৭ ভাগ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯৩৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬২ জনে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃতু্য হয়। গেল বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সেই দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে ধরা হয়। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২১ সেপ্টেম্বর। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সরকারের লক্ষ্য ছিল এই হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার।
২০২০ বছরের মার্চে ছড়ানো করোনা বছরের শেষে নিয়ন্ত্রণে আসার পর ২০২১ সালের এপ্রিলের আগে থেকে আবার বাড়তে থাকে। এর মধ্যে প্রাণঘাতী ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পর এপ্রিলের শুরুতে লকডাউন এবং ১ জুলাই থেকে শাটডাউন দেয় সরকার। সংক্রমণ কমে আসার পর আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়লে দেশে আবারও বেড়ে যায় করোনা সংক্রমণ। গত ২১ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ স্কুল-কলেজ বন্ধসহ পাঁচ দফা নির্দেশনা জারি করে। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় আবারও ২২ ফেব্রম্নয়ারি থেকে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয় সরকার। ২ মার্চ থেকে খোলা হয় প্রাথমিক স্কুল।
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd