বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত রাখা যায়নি বিএনপি নেতাকর্মীদের একাংশকে। আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিলেও বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে।
মেয়র পদে এখন পর্যন্ত টিকে থাকা সাত প্রার্থীর মধ্যে টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন। তিনি সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা আহসান হাবিব কামালের ছেলে। রুপন নিজেও ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এছাড়া যারা কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড
কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। তাদের মধ্যে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের
হাবিবুর রহমান, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. হারুন অর রশিদ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ মো. আমিনুল ইসলাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন।
এছাড়া ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সম্পাদক হাবিবুর রহমান ফারুক, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নগর বিএনপির সাবেক সহ-শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. ইউনুস মিয়া, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউল হক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়ের আবদুলস্নাহ সাদি। সংরক্ষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নগর বিএনপির সাবেক সদস্য মজিদা বোরহান নির্বাচন করছেন।
মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'আমার বাবা বিএনপির নেতা ছিলেন। তিনি পৌর চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র ছিলেন। তার মৃতু্যর পর তাকে যারা ভালোবাসতেন তাদের মতামতেই আমি প্রার্থী হয়েছি। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর বিএনপি থেকে আমাকে কোনো নির্দেশনা বা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হয়নি। তাছাড়া দলে আমার কোনো পদ-পদবি নেই। এজন্যই আমি মনে করি নির্বাচনে অংশ নিতে আমার কোনো বাধা নেই।'
এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি দল নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনে সক্রিয় অথচ সিটি নির্বাচনে কিছু নেতাকর্মী অংশ নিচ্ছেন। নেতাকর্মীরা যেন আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেন সেজন্য আগে থেকেই সতর্ক করে এসেছি। তারপরও যারা অংশ নিচ্ছেন কেন্দ্র তাদের বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।'