বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

রামু বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
  ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
আপডেট  : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:২১
রামু বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগ

কক্সবাজারের রামুর চেরাংঘাটা বড় ক্যাং তথা উসাইচেন বৌদ্ধ বিহারে দুর্বৃত্তের দেওয়া অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিহারের একটি সিঁড়ি পুড়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকল বাহিনীর কর্মীদের সহযোগিতায় আগুন দ্রম্নত নিয়ন্ত্রণে আনার ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে বলে স্থানীয় রাখাইন নেতারা জানিয়েছেন। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর পর রামু উসাইচেন বৌদ্ধ বিহারে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক এবংর্ যাব, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

উসাইচেন বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মং কিউ রাখাইন বলেন, ১৫০ বছরের পুরনো কাঠের বিহারে শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে আগুন দিয়ে এক ব্যক্তিকে চলে যেতে দেখা গেছে সিসি ক্যামেরায়। এটি পরিকল্পিত ঘটনা, নাশকতার জন্যই। রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তরা বিহারে ঢুকে আগুন দেয়। আগুনে বিহারের সিঁড়ি পুড়ে গেছে। আগুন দেখে বিহারের লোকজন চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছুটে এসে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের

আওতায় আনার কথা বলেন তিনি।

রামু ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কর্মকর্তা সৌমেন বড়ুয়া জানান, রামু বড় ক্যাং বৌদ্ধ বিহারে আগুন লাগার খবরে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন দ্রম্নত নিয়ন্ত্রণ আনেন। আগুন লাগার ঘটনা ও কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা তদন্ত করে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে। এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়। সংশ্লিষ্ট বৌদ্ধ বিহারসহ আশপাশের সব সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।

উলেস্নখ্য, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে গুজবের জেরে রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় একদল দুর্বৃত্ত। এতে পুড়ে যায় এসব বিহারে থাকা হাজার বছরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। ভাঙচুর করা হয় শত বছরের মূর্তি ও মন্দির রামুর ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। পুড়ে যায় ১২টি বৌদ্ধ বিহার, ২৬টি বসতঘর। এসব ঘটনায় ১৯টি পৃথক মামলা করা হয়। এর একটি মামলা আপসে নিষ্পত্তি হলেও বাকি ১৮টি মামলার কোনোটির বিচার হয়নি। বর্তমানে মামলাগুলো কক্সবাজারের আদালতে বিচারাধীন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে