বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব আরও গভীর করবে যুক্তরাষ্ট্র

যাযাদি ডেস্ক
  ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বেদান্ত প্যাটেল

বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব গভীর করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ আছে। অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি অবাধ-মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়াসহ অভিন্ন লক্ষ্য এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছে?

জবাবে প্যাটেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব আরও গভীর করার ক্ষেত্রে সেগুলো গ্রহণ অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের বার্ষিকী ছিল গত বছর। তিনি আগেই বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখার বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র আছে, বিশেষ করে জলবায়ু ও নিরাপত্তা সহযোগিতা। এসব ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ-সম্ভাবনা আছে বলে তারা বিশ্বাস করেন।

প্যাটেল আরও বলেন, অবশ্যই বেসরকারি খাতের সঙ্গেও তাদের যুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে। তারা বিশ্বাস করেন, এই বিষয়টিও সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

জাতিসংঘের অবস্থান বদলায়নি

অন্যদিকে বাংলাদেশ বিষয়ে জাতিসংঘের আগের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারা অতীতে যা বলেছেন, তা অপরিবর্তিত আছে। সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক তার প্রশ্নে বলেন, আবার ক্ষমতায় আসায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানোর মাধ্যমে জাতিসংঘ মহাসচিব কি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভুয়া নির্বাচনের বিষয়কে অবজ্ঞা করেননি? এটি কি জাতিসংঘের আগের অবস্থান, নির্বাচনের অগণতান্ত্রিক প্রকৃতির বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের বিবৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় কি?

জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, না। তিনি (জাতিসংঘ মহাসচিব) প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যেমনটা তিনি বিভিন্ন সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান পুনর্র্নিবাচিত হলে পাঠিয়ে থাকেন। এখান (পোডিয়াম) থেকে তারা অতীতে যা বলেছেন, মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার যা বলেছেন তা অপরিবর্তিত আছে।

ব্রিফিংয়ে আরেক সাংবাদিক তার প্রশ্নে বলেন, মুখপাত্র জানেন যে বাংলাদেশ ২০১৭ সাল থেকে প্রায় ৭ বছর ধরে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। প্রত্যাবাসনে অগ্রগতির অভাব সমস্যার জন্ম দিচ্ছে। তারা ক্রমে অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। অন্যদিকে মানবিক তহবিল, আন্তর্জাতিক-মানবিক মনোযোগ সবকিছু সংকুচিত হচ্ছে। এই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের পরিকল্পনা কী?

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, প্রথমত, কাউকে কখনো প্রত্যাবাসন করা উচিত নয়। কোনো শরণার্থীকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যাবাসন করা উচিত নয়। তাদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষা করে, এমন পদ্ধতিতে স্বেচ্ছায় তা করা দরকার। এটা তাদের (জাতিসংঘ) কাছে স্পষ্ট যে মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করছে না।

স্টিফেন ডুজারিক আরও বলেন, 'জাতিসংঘ মহাসচিব কক্সবাজার পরিদর্শন করেছেন। আমাদের যা দরকার তা হলো কক্সবাজারের বাসিন্দাদের মতো যেসব মানুষ উদারভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছেন তাদের জন্য বিশ্বব্যাপী সংহতি বাড়ানো। কারণ, আমাদের সংহতিটা শরণার্থীদের দরকার। আমাদের সংহতিটা আশ্রয়দাতাদের দরকার। এসবের জন্য আমাদের বর্ধিত তহবিল দরকার।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে