কিছু কাজ বাকি রেখেই আলোচিত বাসর্ যাপিড ট্রানজিট-বিআরটি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যাচ্ছে সরকার।
প্রকল্প শুরুর প্রায় এক যুগ পর গাজীপুর থেকে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত আগামী ১৬ ডিসেম্বর বাস চালু করা হলেও কিছু সমস্যা থেকে যাবে বলে মনে করছেন সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা।
শনিবার দুপুরে প্রকল্প পরিদর্শন শেষে গাজীপুর মহানগরীর শিববাড়ি বিআরটি স্টেশনে এক সভায় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. এহছানুল হক উদ্বোধনের বিষয়টি জানান।
যানজট কমানোর কথা বলে বিআরটি এর কাজ হাতে নেওয়া হলেও দীর্ঘ সময় ধরে এই প্রকল্পের কাজের কারণে এই পথের বিশেষত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনায় অন্তত ছয়জনের নিহত হওয়া ছাড়াও প্রকল্পের অব্যবস্থাপনা নিয়েও গাজীপুরের মানুষ বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এহছানুল হক বলেন, 'বিআরটি প্রকল্পে অনেক টাকা-পয়সা খরচ হয়েছে, অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। বহুদিন ধরে মানুষ এর প্রতীক্ষায় আছে। এর একটা অবসান হওয়া উচিত। প্রাথমিকভাবে দুটি এসি বাস দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রী পরিবহণ করা হচ্ছে। ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিআরটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে।'
'সড়কটি চালু হলেও বেশ কিছু সমস্যা থেকে যাবে। একদিনেই সেসব সমস্যার সমাধান হবে না। এই মুহূর্তে সড়কের প্রতিটি স্টেশনে ফুটওভার ব্রিজ রয়েছে, যা মানুষ পারাপারের জন্য পর্যাপ্ত নয়। আরও অতিরিক্ত ১০টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর পর্যন্ত।'
এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ৯৮ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, 'আশা করছি, আগামী বছরের জুনে এই প্রকল্প পুরোপুরি ফাংশনাল করা সম্ভব হবে।'
২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর একনেক বিআরটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। শুরুতে ব্যয় ধরা হয় দুই হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। এরপর কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেটিও হয়নি। সবশেষ বলা হয়েছিল, চলতি বছরের আগস্টে কাজ শেষ হবে।
পরে সরকার আবার ডিসেম্বরে উদ্বোধনের কথা জানায়। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিআরটি প্রকল্পে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। ফলে প্রকল্পের উদ্বোধন নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।