সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

আসন ভাগাভাগি জোট নেতাদের অপেক্ষায় রাখল বিএনপি

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আসন ভাগাভাগি জোট নেতাদের অপেক্ষায় রাখল বিএনপি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন ভাগাভাগি নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের দল ও জোটদের অপেক্ষায় রাখল বিএনপি। নির্বাচনে আগে এ বিষয়ে সমমনাদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারা। তবে যুগপৎ আন্দোলনের দল ও জোটদের সঙ্গে নিয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও জাতীয় সরকার গঠন করতে চায় বলেও জানিয়েছে বিএনপি।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে সমমনাদের বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। বিএনপির পক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, বৈঠকে সমমনা দলের নেতারা জাতীয় সরকার গঠনের রূপরেখা বিষয়ে বিএনপির বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একই সঙ্গে আসন ভাগাভাগি এবং কোন দলকে কত আসন দেয়া হবে- সে বিষয়ে বিএনপির সিদ্ধান্তের কথা জানতে চান তারা। এসব প্রশ্নের প্রতু্যত্তরে বিএনপি বলেছে, যুগপৎ আন্দোলনের দল ও জোটদের নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে। যারা নির্বাচিত হবেন তাদের নিয়েই জাতীয় সরকার গঠন করবে দলটি। কোন দল ও জোটকে কোন আসন কিংবা কয়টি আসন দেওয়া হবে তা নির্বাচনের আগে ঠিক করা হবে বলেও জানিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে আলোচনা চলমান থাকবে বলে জানায় দলটি।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'সরকার থেকে নির্বাচনের যে সময়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এটা আমাদের কারো জানা ছিল না এবং কারো সঙ্গে আলোচনাও হয়নি। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেখানে আলোচনার কথা বলা হয়েছে, আমরা মনে করি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আগামী নির্বাচন। সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে যে কথা হচ্ছে, এ ব্যাপারে কেনো আলোচনা করা হয়নি। সুতরাং আমরা অবগত নই, কি কারণে এত দীর্ঘ সময় নিয়ে একটা 'সময়' দেওয়া হয়েছে। এটা জনমনে একটা বিভ্রান্ত সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা যে যৌক্তিক সময়ের কথা বলেছিলাম, সেই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে আমরা বিষয়টা দেখতে পাচ্ছি না।'

খসরু বলেন, 'সংস্কারের বিষয়ে আমরা সবাই মিলে যে আলোচনা করেছি, যেটা প্রথম সংস্কার হওয়া দরকার, সেটা হচ্ছে- আগামীদিনে যে নির্বাচনটা হবে, সেই নির্বাচনের সংস্কারটা সবার আগে হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। সেটা হলে নির্বাচনের দিকে এখন এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এরমধ্যে অন্যান্য সংস্কারের কথা উঠে এসেছে। কিন্তু সংস্কার মূলত হতে হবে সংসদে। সুতরাং কি সংস্কার নির্বাচনের আগে করতে পারেন, সেটা দেখাক। ঐক্যমতের ভিত্তিতে যে সংস্কার করা প্রয়োজন আছে, সেটা এই কম সময়ের মধ্যে করতে হবে। আর যেখানে ঐক্যমত হবে না, সেগুলো নিয়ে আগামী নির্বাচনে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের সমর্থন নিয়ে আমাদের সেই কাজগুলো করতে হবে। সংস্কারের কথা বলে আপনি বিভিন্ন কমিটির রিপোর্ট দেবেন এবং আবার বসবেন। এ বিষয়গুলো দীর্ঘায়িত করার কেনো প্রয়োজনীয়তা নাই।'

বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের নিয়ে আলোচনা হয়। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে বলা হয়, কেউ ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন চায় না। কিন্তু নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কারগুলো করে অতিদ্রম্নত নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় যে সমস্যা ও সংকট তৈরি হচ্ছে তা দূর হবে না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই পারে এই সমস্যা ও সংকট দূর করতে। জাতীয় ঐক্যমত কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া নির্বাচনকে আরও প্রলম্বিত করবে বলেও মতামত দেন সমমনারা।

গণঅধিকার পরিষদের পক্ষে বৈঠকে দলটির আহ্বায় কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, সদস্য সচিব ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার জিসান মহসিন, অ্যাডভোকেট শিরিন আকতার, যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, সদস্য আরিফ বিলস্নাহ, ইমামউদ্দিন, শফিকুল ইসলাম রতন, ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিং মং চাক, সাকিব হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে বৈঠকে মহাসচিব মোমিনুল আমিন, উচ্চ পরিষদ সদস্য হুমায়ুন পারভেজ খান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে