সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

নীতিমালা ছাড়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা কেন অবৈধ নয়, হাই কোর্টের রুল

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৪ মার্চ ২০২৫, ০০:০০
নীতিমালা ছাড়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা কেন অবৈধ নয়, হাই কোর্টের রুল

নীতিমালা ছাড়া দন্ডিতকে ক্ষমা করার রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমতা কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক নয়, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। এ সংক্রান্ত একটি রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ রুল জারি করে।

রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান নিজে এ আবেদনের শুনানি করেন। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী রাশিদুল হাসান, তানজিলা রহমান ও ইফাত হাসান শাম্মি। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহসীন কবীর রকি।

ইশরাত হাসান বলেন, রুলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা সংক্রান্ত নীতিমালা করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ক্ষমা করা হয়েছে। এতে জনমনে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা দেখা দেয়। ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়। এই ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে, নীতিমালা প্রণয়ন করা আবশ্যক।

কোনো নীতিমালা ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত কোনো আসামিকে ক্ষমা করার ক্ষমতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ জানুয়ারি জনস্বার্থে হাই কোর্টে রিট মামলা করেন ইশরাত হাসান।

রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা রয়েছে। এই ক্ষমা করার ক্ষমতা অবাধ, যার কোনো নীতিমালা নেই। কে, কীসের ভিত্তিতে ক্ষমা পাচ্ছেন- তার কোনো নীতিমালা নেই; যা সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

ইতোমধ্যে এই ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে অনেক সাজাপ্রাপ্ত আসামি ক্ষমা পেয়েছেন। যার মধ্যে সাবেক সেনাপ্রধানের ভাই জোসেফ, আসলাম ফকির উলেস্নখযোগ্য। মন্ত্রীপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পার্লামেন্ট সচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিবকে মামলায় বিবাদী করা হয়।##

২৯ জেলার সিভিল

সার্জন ওএসডি

যাযাদি ডেস্ক

দেশের ২৯ জেলার সিভিল সার্জনদের ওএসডি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। রোববার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব সনজীদা শারমিনের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আগামী ৬ মার্চের মধ্যে তাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ৬ মার্চের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিলে ৯ মার্চ থেকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন।

ওএসডি হওয়া সিভিল সার্জনরা হলেন- বরিশালের ডা. মারিয়া হাসান. কুষ্টিয়ার ডা. মো. আকুল উদ্দিন .শরীয়তপুরের ডা. আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ পরান. সিলেটের ডা. মনিসর চেন্ধুরী, নোয়াখালীর ডা. মাসুম ইফতেষার,পিরোজপুরের ডা. মো. মিজানুর রহমান, কক্সবাজারের ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার,ঝালকাঠির ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম, ফেনীর ডা. মো. শিহাব উদ্দিন. পাবনার ডা. শহীদুলস্নাহ দেওয়ান, শেরপুরের ডা. মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মজামালপুরের ডা. মো. ফজলুল হক' পটুয়াখালীর ডা. এস এম কবির হাসান, মেহেরপুরের ডা. মহীউদ্দিন আহমেদ, নেত্রকোণার ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য, টাঙ্গাইলের ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া, ঠাকুরগাঁওয়ের ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ, গাইবান্ধার ডা. কানিজ সাবিহা, জয়পুরহাটের ডা, মুহা. রুহুল আমিন, গাজীপুরের ডা. মাহমুদা আখতার,

কিশোরগঞ্জের ডা. সাইফুল ইসলাম, বরগুনার ডা. প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল, নওগাঁর ডা. মো. নজরুল ইসলাম, রংপুরের ডা. মোস্তফা জামান চেন্ধুরী, নীলফামারীর ডা. মো. হাসিবুর রহমান, মানিকগঞ্জের ডা. মো. মকছেদুল মোমিন, লালমনিরহাটের ডা. নির্মলেন্দু রায়,পঞ্চগড়ের ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ও কুড়িগ্রামের ডা. মো. মনজুর এ-মুর্শেদ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে