সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

রাজধানীর পাড়া-মহলস্নায় জমে উঠেছে ইফতার বাজার

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৪ মার্চ ২০২৫, ০০:০০
রাজধানীর পাড়া-মহলস্নায় জমে উঠেছে ইফতার বাজার
রাজধানীর বেইলী রোডে মুখরোচক ইফতার কিনতে ক্রেতাদের ভিড়। ছবিটি সোমবার তোলা -ফোকাস বংলা

রমজান মাসে সারা দিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় ইফতার করার আনন্দই আলাদা। এই উপলক্ষে রাজধানীর পাড়া-মহলস্নার ইফতার কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে এক ধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। এছাড়া, ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেটগুলোর সামনে পর্যন্ত বসেছে বাহারি ইফতারসামগ্রীর দোকান। কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে সাধারণ রোজাদার সবাই এসব দোকানে ভিড় করছেন পছন্দের খাবার কিনতে।

রাজধানীর চকবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বড় ইফতারের বাজার বসলেও এলাকাভিত্তিক নানা স্থায়ী ও অস্থায়ী ইফতারের বাহারি পদ নিয়ে দোকান বসানো হয়। ইফতারের আইটেমগুলোর মধ্যে রয়েছে তেলেভাজা পরিচিত আইটেমের পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, সামোসা, আলুর চপ, মুড়ি-মুড়কি, ছোলা ও বিভিন্ন ধরনের পাকোড়া। পাশাপাশি হালিম, কাবাব, নানরুটি, পরোটা, রোল, চিকেন ফ্রাই, জিলাপি, দই-বুন্দিয়া, মিষ্টি, ফালুদাসহ নানা আইটেম পাওয়া যাচ্ছে। খেজুর, ফলমূল ও শরবতেরও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। বিশেষ করে বড় এলাকায় ফিউশন ইফতার আইটেমের আধিক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চিকেন উইংস, গ্রিল চিকেন, তন্দুরি, চিজ রোল, স্পেশাল চাইনিজ খাবারসহ ভিন্নধর্মী আইটেমও বিক্রি হচ্ছে বেশ ভালোভাবে।

বাসায় তৈরি ইফতারকেই বেশিরভাগ মানুষ প্রাধান্য দিলেও কর্মজীবী মানুষরা

বিশেষত ব্যাচেলর বা ছোট পরিবারে থাকা ব্যক্তিরা বাজার থেকে ইফতার কিনতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কেউ কেউ বাসার ইফতারে সঙ্গে বাহির থেকে বিশেষ কোনো খাবার নিয়ে যান।

ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা আফসার বিশ্বাস বলেন, বাসায় বানানো খাবারই বেশি খাই, তবে মাঝে মাঝে জিলাপি বা হালিমের জন্য আসি।

স্ত্রী ও দুই সন্তানের ছোট পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন হাসিফ আহমেদ। ঘরে ইফতার বানানো খরচ ও ঝামেলা মনে করেন বলে বাহির থেকে কিনে নিয়ে যান বলে জানান। তিনি বলেন, ইফতার বানানোর সব জিনিসপত্রের দাম অনেক। বানাতেও তেল অনেক খরচ হয়। ছোট পরিবার ঈদের ১০ দিন আগেই ফ্যামিলি গ্রামে চলে যায়। সব মিলিয়ে হিসাব করলে দৈনিক অল্প করে কিনে নিয়ে গেলেই ভালো হয়।

ইফতারের জন্য এলাকার দোকানের ওপর নির্ভর করতে হয় জানিয়ে ব্যাচেলর বাসায় ভাড়া থাকা সালাম মাহমুদ বলেন, 'আমাদের তো বানানোর লোক নেই। তাই প্রত্যেক দিন মেসের কারও না কারও দায়িত্ব পরে ইফতার নিয়ে যাওয়ার। তাই আসা।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে