বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

নাঈমের সেঞ্চুরিতে রংপুরকে হারিয়ে আশা জিইয়ে রাখল খুলনা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
নাঈমের সেঞ্চুরিতে রংপুরকে হারিয়ে আশা জিইয়ে রাখল খুলনা
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রংপুরের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে উচ্ছ্বসিত খুলনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ -ওয়েবসাইট

টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প নেই। হেরে গেলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই শেষ সব আশা। বৃহস্পতিবার এমন সমীকরণের ম্যাচে নিজের সেরাটা উপহার দিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। চমৎকার সেঞ্চুরিতে খুলনা টাইগার্সকে এনে দিলেন বড় পুঁজি। পরে সৌম্য সরকারের হুঙ্কার সামলে অনায়াসেই রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে দিল তারা।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার বিপপিএলে দিনের প্রথম বাঁচা-মরার লড়াইয়ের পরিণত হওয়া ম্যাচে খুলনার জয় ৪৬ রানে। ১১ ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পেস্ন-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকল তারা। ফলে অপেক্ষা আরও বাড়ল দুর্বার রাজশাহীর। আর টানা আট জয়ে সেরা চার নিশ্চিত করা রংপুর হেরে গেল পরপর চার ম্যাচ।

নিজেদের শেষ ম্যাচ জিততে পারলেই সেরা চারে জায়গা করে নেবে খুলনা। আর হারলে বিদায় নিতে হবে। খুলনা পরের ম্যাচ জিতলে কপাল পুড়তে পারে রাজশাহী বা চিটাগাংয়ের। অবশ্য চিটাগাং সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। তাদের দুই ম্যাচ এখনো বাকি। দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেও হিসেব ছাড়াই সেরা চার নিশ্চিত হবে তাদের। এমনকি দুই ম্যাচের দুটিতেই হারলেও পেস্ন অফের সম্ভাবনা থাকবে তাদের। অন্যদিকে রাজশাহীর কোনো ম্যাচ বাকি না থাকায় অন্যদের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার নেই তাদের।

বাঁচা মরার লড়াইয়ে নাঈম শেখের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বিশাল পুঁজির পায় খুলনা টাইগার্স। রান তাড়ায় এক সৌম্য সরকারই দেখালেন ঝাঁজ। অন্য আর কেউ দাঁড়াতে না পারায় তার আগ্রাসী ফিফটির পরও লড়াই জমাতে পারল না রংপুর রাইডার্স।

এদিন নাঈমের ৬২ বলে ১১১ রানের ইনিংসে ভর করে ২২০ রান করে খুলনা। জবাবে রংপুর আটকে যায় ১৭৪ রানে। চোট কাটিয়ে ফেরার পর ৪৮ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে যান সৌম্য। আর কেউ সঙ্গ দিতে না পারায় তার ইনিংস যায় বিফলে। বিশাল লক্ষ্যে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান তৌফিক খান তুষার। আরেক পাশে রান বাড়াতে থাকেন সৌম্য। তবে সঙ্গী পাচ্ছিলেন না তিনি। তিনে নামা সাইফ হাসান থামেন দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে।

পাকিস্তানি ইফতেখার আহমেদ নেমে ঝাঁজ দেখাচ্ছিলেন, তার বিদায় অসময়ে। খেই হারানো রংপুরের ইনিংস গতি পায় শেখ মেহেদী হাসানের সঙ্গে সৌম্যের জুটিতে। মেহেদী ১৪ বলে ২ চার, ২ ছক্কায় ২৭ করে মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে ফিরলে হোঁচট খায় রংপুর, পরে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ক্রিজে এসেই কোন রান না করে আউট হয়ে গেলে ব্যাকফুটে চলে যায় রংপুর।

পরে উইলিয়াম বোসিস্টকে নিয়ে ৪৭ বলে ৮৮ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সঙ্গে মাত্র ৩২ বলে ৭২ রান যোগ করেন নাঈম। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ১৫ বলে ২৯ রান করেন অঙ্কন। এদিন অবশ্য নাঈমের বড় ইনিংস খেলা সহজ হয়েছে রংপুরের বাজে বোলিংয়ে। একের পর এক নো বল, ফুলটস করে এলোমেলো ছিলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নাহিদ রানারা। সুযোগে স্বীকৃত ক্রিকেটে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে নাঈম গড়ে দেন ব্যবধান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে