ঠুক ঠুক শব্দ শোনা যায় হাট-বাজারের কাঠের দোকানে। হাতে বাটল ও হাতুরী দিয়ে কোসা নৌকা বানানো শুরু করেছেন কাঠমিস্ত্রিরা। বন্যার পানি আসার আগেই তাদের এই প্রস্তুতি।
আষাঢ় মাসের শেষের দিকে সালথা উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে বৃষ্টি ও নদীর পানিতে থই থই করবে। পুরো তিনমাস থাকবে পানি। কৃষি কাজে ও জেলেদের মাছ ধরার জন্য প্রয়োজন হবে নৌকা। তাই আগে থেকেই কাঠমিস্ত্রিরা কোসা নৌকা তৈরি করছে। ছোট-বড় প্রকার ভেদে ৬হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হবে এক একটি কোসা নৌকা।
আব্দুল আলেম নামে এক কৃষক জানান, নিচু মাঠ থেকে পাটের আঁশ ছাড়িয়ে বাড়িতে আনতে কোসা নৌকা ও ডিঙ্গি একমাত্র ভরসা। তাই এবছরও একটা নৌকা কিনবো। যাতে স্বাচ্ছন্দে কৃষি কাজ করতে পারি।
কাঠমিস্ত্রি গুরু দাস ও আকমল মোল্যা বলেন, যখন মাঠ ও বিল-বাঔড়ে পুরোপুরি পানি আসবে, তখন নৌকার চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। তৈরি করার চেয়ে চাহিদা থাকে বেশি। তাই আগে থেকেই কিছু কোসা নৌকা তৈরি করে রাখার জন্য কাজ শুরু করেছি।
তারা আরো বলেন, কাঠ ও লোহার দাম বেশি। তাই গত বছরের চেয়ে এবছর নৌকা তৈরিতে খরচ একটু বেশি পড়বে। পুরো বর্ষার সময় সব নৌকা বিক্রি হয়ে যাবে।