দুবাইয়ে সব ম্যাচ। একমাত্র ভারতের কপালেই জুটেছে এমন সুবিধা। বাকি সবদল ভিআইপি এই সুবিধা পায়নি। বরং এক ভেনু্য থেকে অন্য ভেনু্য ছুটতে হয়েছে। ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরু থেকেই এক ভেনু্যতে স্থির! যা নিয়ে কড়া সমালোচনা হচ্ছে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে। ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা, হেড কোচ গৌতম গম্ভীর অবশ্য বাড়তি সুবিধার কথা স্বীকার করেননি। তাদের মতো একই সুরে কথা বলেছেন দলটির ব্যাটিং কোচ সিতাংশু কোটাকও।
ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে রবিবার নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। ম্যাচটা মাঠে গড়াবে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। যে মাঠে ভারত সবগুলো ম্যাচ খেলেছে। একই মাঠে খেলার বাড়তি সুবিধায় টুর্নামেন্টের অপরাজিত দল তারা। জিতেছে চার ম্যাচের সবকটি। এক ভেনু্যতে খেলা নিয়ে সমালোচনার জবাবে সিতাংশু বলেছেন, 'ড্র যেভাবে হয়েছে, সেটা আগেই হয়েছে। ভারত যেভাবে চার ম্যাচ জিতেছে, তাতে যদি সবাই মনে করে এটা বাড়তি সুবিধা। তাহলে জানি না এটা নিয়ে আমার কী বলা উচিত।'
পুরো টুর্নামেন্টে বাকি দলগুলোকে পাকিস্তান থেকে দুবাই, আবার দুবাই থেকে পাকিস্তান সফর করতে হয়েছে। কিন্তু ভারত তার সবগুলো ম্যাচ দুবাইতেই খেলেছে। যে কারণে এই পরিস্থিতি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার ডেভিড মিলারও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, ব্যাপারটা মোটেও আদর্শ নয়। স্বাগতিক হয়ে পাকিস্তানকেও দুবাই উড়ে যেতে হয়েছে। অথচ দুই দেশের পিচ কন্ডিশন পুরোপুরি আলাদা। পাকিস্তানের পিচগুলোতে বেশি রান হয়েছে। সেই তুলনায় দুবাই স্টেডিয়ামের পিচ ছিল স্স্নো ও টার্নিং। কিন্তু এসবের পরও কোটাক নিজেদের পক্ষে যুক্তি তুলে বলেছেন, 'দিন শেষে আমার মনে হয় ম্যাচে ভালো ক্রিকেট খেলেই ঘুরে দাঁড়াতে হয়। সমালোচকরা বলছে, আমরা এখানে খেলে যাচ্ছি। কিন্তু টুর্নামেন্টের ড্র সেভাবেই হয়েছে। ফলে এখানে আর কিছু করার সুযোগ নেই। ব্যাপারটা এমন নয় ওরা এখানে আসার পর সব কিছু পাল্টে ফেলেছে এবং তাতে আমরা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছি।'