এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিনিধি দল প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট সহযোগী সংস্থাসমূহ পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ফাইন্যান্স অফিসার তিপাওয়ান ভুটাপ্রতীপ বলেন, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও শিক্ষানবিশির মতো উদ্ভাবনী কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করছে এবং সহনশীলতা ও টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিচ্ছে। এই প্রকল্প মানুষকে তাদের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর সুযোগ করে দিচ্ছে।
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কাজের প্রতি উৎসাহ তার জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক ও প্রাণবন্ত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে ভুটাপ্রতীপ বলেন, প্রকল্পভুক্ত তরুণ ও উদ্যোক্তারা কমিউনিটিতে যে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছেন তা অসাধারণ এবং এটি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক যে একজনকে এগিয়ে নেওয়া মানে অনেককেই একসাথে এগিয়ে নেওয়া।
এরপর প্রতিনিধি দল পিকেএসএফ-এর সহযোগী সংস্থা সোস্যাল আপলিফটমেন্ট সোসাইটি (সাস) ও ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টার (ভার্ক)-এর শিক্ষানবিশি কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে তরুণরা কীভাবে বাস্তব কর্মপরিবেশে হাতে-কলমে দক্ষতা অর্জন করছেন, সেটি প্রত্যক্ষ করেন প্রতিনিধিরা। তারা শিক্ষানবিশি সম্পন্নকারীদের কর্মস্থল ও উদ্যোক্তাদের স্টার্টআপ উদ্যোগও সরেজমিনে ঘুরে দেখেন এবং প্রকল্পের প্রভাব নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সোশ্যাল প্রোটেকশন ইকোনমিস্ট ও রেইজ প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার আনিকা রহমান বলেন, রেইজ প্রকল্প অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির বহুমাত্রিক দিক তুলে ধরছে। এখানে প্রান্তিক তরুণরা প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করে সম্মানজনক ও উপযুক্ত মজুরির কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলো বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা পাচ্ছে।
প্রতিনিধি দল সহযোগী সংস্থা সাস আয়োজিত ‘ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও উদ্যোগ উন্নয়ন’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ সেশনও পর্যবেক্ষণ করেন, যেখানে প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে তাদের উদ্যোগের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে মতবিনিময় হয়। এছাড়া, ভার্ক আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তারা শিক্ষানবিশি কার্যক্রমে যুক্ত মাস্টার ক্র্যাফটসপার্সনের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বিশ্বব্যাংক ও পিকেএসএফ-এর যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পাঁচ বছর মেয়াদি রেইজ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের অনানুষ্ঠানিক খাতের ১ লাখ ৮৩ হাজার তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানো হচ্ছে। প্রকল্প অনানুষ্ঠানিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে এ খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।