পবিত্র ঈদুল আযহা ও সরকারি ছুটিতে ঈদ পরবর্তী কোলাহল মুখর ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের প্রান্ত সীমায় অবস্থিত আকাশলীনা ইকোট্যুরিজম সেন্টার সহ অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্র গুলি।
ঈদের দিন বিকাল থেকেই পর্যটকদের পদচারণা শুরু হয়েছে বিনোদনকেন্দ্র গুলিতে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন অবস্থিত আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার, কালিঞ্চি ম্যানগ্রোভ ভিলেজ ও ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন কৈখালী পাঁচ নদীর মোহনা এলাকায় পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়।
প্রকৃতির সৌন্দর্য্য ও বিকল্প সুন্দরবনের স্থান আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টারে শিশু, মধ্য বয়সী, যুব ও পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তিরা বিনোদন কেন্দ্র গুলিতে ঘুরে ঘুরে সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
পর্যটকরা কেউ ছবি তুলছেন, কেউ গল্প করছেন, কেউ নৌকায় চড়ে ঘুরছেন, কেউ কেউ ছাতা বা ছাউনি বেস্টিত স্থানে বসে বাদাম খেয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করে সময় পার করছেন।
আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার সংলগ্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্টান গুলিতে ক্রয়-বিক্রয়ও বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
যশোর জেলা থেকে আকাশলীনা সেন্টারে ভ্রমন করতে আসা কলেজ পড়–য়া যুবক হাফিজুর রহমান, সোমা বলেন ঈদের ছুটিতে ভ্রমন করতে আসলাম এই আকাশলীনা সেন্টারে। এখানে শিশুদের জন্য আরও খেলনা সমৃদ্ধ স্থাপনা তৈরী করা হলে শিশুরা আনন্দ পেত।
ঘুরতে আসা রহমান দম্পতি জানান আকাশলীনা ওয়াচ টাওয়ারে উঠে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরে খুব ভাল লেগেছে বলে জানান।
আকাশলীনা ভ্রমনে আসা স্কুল পড়–য়া ছাত্র রানা বলেন ভেবেছিলাম সুন্দরবনের কাছে আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার এখানে সুন্দরবনের জীবজন্তু দেখতে পাব।
জেলা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পর্যটকরা বলেন সড়ক পথে সুন্দরবন দেখার সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে সাতক্ষীরা মুন্সিগঞ্জ সড়ক সংস্কার জরুরী।
মুন্সিগঞ্জ বনটহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার নির্মল মন্ডল বলেন বর্তমানে বন্য প্রাণির প্রজনন মৌসুম চলছে, সুন্দরবন সুরক্ষা, মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে ১ জুন থেকে ৯২ দিন সুন্দরবনে জেলে,বাওয়ালী, মৌয়ালী ও পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
এ কারণে অনেক পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমনে এসে ফিরে যাচ্ছে। এ সময় আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টারে প্রবেশ করছে বহু সংখ্যাক পর্যটক।
এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছেন ট্যুরিষ্ট পুলিশ। সব স্থানে ট্যুরিষ্ট পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন বলে ট্যুরিষ্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানান।
কালিঞ্চি ইকো ম্যানগ্রোভ ভিলেজের প্রধান কর্মকর্তা গোপাল মুন্ডা বলেন ঈদের ছুটিতে ম্যানগ্রোভ ভিলেজে পর্যটকরা আসছেন এবং এখান থেকে নৌকা যোগে ঘুরছেন।
আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টারের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বলেন ঈদের পরের দিন ২ হাজার ৪২৬ জন পর্যটক প্রবেশ করেছে। এ থেকে আয় হয়েছে ৪৮ হাজার ৫২০টাকা।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন ঈদের ছুটিতে আরও পর্যটক বাড়তে পারে।