ঝালকাঠির রাজাপুরে বসতঘর ভাঙচুর করে মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি বাজার সংলগ্ন এলাকায় মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শহিদুল ইসলাম ওই এলাকার মৃত এস্কেন্দার আলী হাওলাদারের ছেলে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং জাহাঙ্গীর, নুরুজ্জামান, জুয়েল নামে তিনজনকে আটক করে।

শ্রীনগরে মসিউর রহমান মামুনের উঠান বৈঠক  

স্থানীয় মাসুদ হাওলাদার, পংকোজ হাওলাদার, সেনাসদস্য সেলিম, ইব্রাহীম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করে উপজেলার সাতুরিয়া এলাকার মো. মিল্লাত হোসেন জম্মাদারের মেয়ে ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরে কর্মরত বিউটিশিয়ান চন্দিমা রিমু রাজাপুর সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সদস্য নাজমা ইয়াছমিন মুন্নি ও বাবুর্চি নবাব হোসেনের সহায়তায় ৩০/৩৫ জন নারীসহ এক থেকে দেড়শত ভাড়াটিয়া লোক হাতে দেশীয় অস্ত্র রামদা, দাও, লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠি নিয়ে শহিদের বাড়িতে আসে। এ সময় শহিদ, তার স্ত্রী রুমিছা আক্তার ও শাশুড়ি মজিদা বেগমকে মারধর করে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে তাদের বসতঘর ভাঙচুর করে ধংসস্তূপে পরিণত করে ঘরে থাকা সমস্ত মূল্যবান মালামাল লুট করে পিকআপে তুলে নিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা আরও জানান, যুদ্ধের সময় অনেক লুটপাটের কথা শুনেছি। কিন্তু এই স্বাধীন দেশে দিনের বেলায় এমন লুটপাট যুদ্ধের সময়কেও হার মানিয়েছে।

ভুক্তভোগী মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, চন্দিমা রিমু নারী-পুরুষসহ এক দেড়শত ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আমাদের মারধর করে বেঁধে রেখে বসতঘর ভাঙচুর করে সমস্ত মালামাল লুট করে পিকআপে করে নিয়ে যায়। ভাড়াটিয়া লোকের অস্ত্রের সামনে স্থানীয় লোক আসতে পারেনি। সবাই দূরে দাঁড়িয়ে ছিল।

অভিযুক্ত চন্দ্রিমা রিমু লুটপাটের বিষয় অস্বীকার করে জানান, ‘বসতঘর ও জমি আমার স্বামীর, ওদের থাকতে দিয়েছিলাম। ওই স্থানে ভবনের কাজ শুরু করব তাই বসতঘরটি লেবার দিয়ে অপসারণ করা হয়েছে। কাজ শেষে লেবারের বিল দিতে আমি ও ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াছমিন মুন্নি ঘটনাস্থলে যাই। লুটপাট করলে দিনে কেন রাতে যেতাম।’

রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যাযাদি/ এস