শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

​নকলায় এক বছরে সাড়ে ৮ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার: গ্রেফতার ৭৮৯ জন

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
  ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৫২

গাড়ো পাহাড়ের পাদদেশে এবং সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুর। এ জেলায় প্রবেশদ্বার হল নকলা উপজেলা। সীমান্তবর্তী অন্যান্য জেলার তুলনায় এ জেলায় মাদকের বিস্তার কিছুটা কম। তার অন্যতম কারন হলো পুলিশের চেকপোস্ট ও কড়া নজরদারী। সীমান্ত থেকে কোন মাদক নিয়ে বের হতে হলে নকলা দিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ সহ অন্যান্য জেলায় বা উপজেলা যেতে হয়। আবার কোন মাদক বা অবৈধ কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে হলে নকলা উপজেলার প্রবেশপথেই যেতে হবে। তাই এই প্রবেশদ্বারেই রয়েছে পুলিশী চেকপোস্ট, ট্রাফিক পুলিশ। আর সার্বক্ষণিক কাজ করে থাকে পুলিশের আরেকটি জরুরী টিম।

নকলা থানা সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মাদকের মামলা হয়েছে ৬৫টি। উদ্ধার হয়েছে সাড়ে ৮ লাখ ৪৮ হাজার ২০৫ টাকার মাদকদ্রব্য। যার মধ্যে রয়েছে ২৭ কেজি ৩২০ গ্রাম গাঁজা, ৬১৩ পিস ইয়াবা, ১৩ গ্রাম হেরোইন ও ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে ৪৫ বোতল। আর এসবের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেফতার করা হেয়ে ১০৪ জনকে। এছাড়াও জুয়া আইনের নিয়মিত মামলা সংখ্যা ৩, গ্রেফতার হয়েছে ১৪জন। জুয়া আইনের ননএফআইআর প্রসিকউশন মামলার সংখ্যা ৮৫, গ্রেফতারের সংখ্যা ৩৯৯ জন। জিআর মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ১৮১ জন, আদালতে স্বোচ্ছায় হাজির হয়ে রিকল জমা দিয়েছেন ২২৪ জন, সিআর মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ৬৩ জন, আদালতে স্বোচ্ছায় হাজির হয়ে রিকল জমা দিয়েছেন ১০৭ জন, সাঁজা মামলায় পলাতক আসামী গ্রেফতার হয়েছে ২৮ জন, আদালতে স্বোচ্ছায় হাজির হয়ে রিকল জমা দিয়েছেন ১০ জন। গত এক বছরে নকলা থানা পুলিশ বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে ৭৮৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।

নকলা উপজেলাকে বিভিন্ন ভাবে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত এবং আইন শৃংঙ্খলা উন্নয়নের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করছেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুশফিকুর রহমান। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা, ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে দীর্ঘদিন সফল সাবেক কৃষি মন্ত্রী বাংলার অগ্নিকন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি (বর্তমানে কৃষি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি) নির্বাচনী এলাকা ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর ওসি হিসেবে যোগদানের পর পরই পুরো উপজেলার আইন-শৃঙ্খলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

ওসি মো. মুশফিকুর রহমান যায়যায়দিনকে বলেন, পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরীর দিক নির্দেশনায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. হান্নান মিয়া’র পরামর্শে নকলা থেকে সকল প্রকার অপরাধ নির্মূলের জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন উদ্যেগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা ইতিমধ্যে প্রসংশিত হয়েছে। ফলে নকলা পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে কমে গেছে অপরাধ মূলক নানান কর্মকান্ড। অপরাধের সাথে জড়িত রেকর্ড সংখ্যক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে উপজেলার আইন- শৃংলাকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে চলছে বিট পুলিশিং কার্যক্রম। ২টি ধর্মীয় বড় উৎসব পূজা ও কোরবানীর ঈদে আইনশৃংঙ্খলার কোন অবনতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কোন ঝামেলা ছাড়াই আমরা এ উপজেলার তৃতীয় ধাপের ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। যা সকলের কাছে প্রসংশিত হয়েছে।

যাযাদি/এসআই

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে