দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, কর্ম এবং কর্মস্থল হলো- উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বোদা, নবীগঞ্জ, বাহুবল ও হবিগঞ্জ সদর; উপপরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ; প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, নেত্রকোনা; জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার, ময়মনসিংহ; মহাপরিচালক, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমী (নেপ); প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন; প্রশাসক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন; চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এবং সদস্য (সচিব), পরিকল্পনা কমিশন, ঢাকা। ১৫ অক্টোবর ২০১৭ তারিখ থেকে তিনি সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি নরওয়ে, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, ইতালি, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, জাপান, যুক্তরাজ্য, ভারত, রাশিয়া, কানাডা ও দক্ষিণ কোরিয়ায় সরকারি কাজের অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সেমিনার/কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। এবং সদস্য, পরিকল্পনা কমিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন।
দেশর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার ও সহায়তায় শেরপুর (কানাসাখোলা)-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-রামভদ্রপুর-পরানগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) মঙ্গলবার (১০ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় অনুমোদিত ওই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৪২ কোটি ২৭ লাখ টাকা।যা ২০২২ হতে এপ্রিল ২০২৫ এর মধ্যে এ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হবে। যাতে ভুমিকা রাখেন মো. নজরুল ইসলাম।
শেরে-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামসহ সচিবরা উপস্থিত থেকে ময়মনসিংহ অংশে রেলওয়ে ওভারপাসসহ ব্রহ্মপুত্র নদের উপর প্রায় দেড় কিলোমিটার সেতুসহ (দৈর্ঘ্য-১৪৭১.৬৬ মিটার) সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৪৪.৯০৬ কি:মি:। এছাড়াও আরো ৭টি সেতু এবং ৭৭টিআরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। যাতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে শেরপুরবাসী।
গত ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহর উন্নয়ন’ বিষয়ক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক নতুন শহরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদে ৩টি সেতু নির্মাণের জন্য লিখিত নির্দেশনা প্রদান করেন। যা একটি সেতুসহ সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
একনেক প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর (কানাশাখোলা)-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-রামভদ্রপুর-পরানগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়কটি নির্মিত হলে শেরপুরের সঙ্গে ময়মনসিংহ ও রাজধানীর দূরত্ব প্রায় ২৫ কিঃমিঃ কমে যাবে। সেই সঙ্গে নাকুগাও স্থলবন্দর, কুড়িগ্রাম ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তাও ২৫ কিঃমিঃ কমে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহ বিভাগের উন্নয়নের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক হয়ে শেরপুর (কানাশাখোলা)-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-রামভদ্রপুর-পরানগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়ে আবারো মহানুভবতার পরিচয় দেয়ার জন্য বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, ময়মনসিংহ বিভাগ উন্নয়ন পরিষদসহ এ অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতৃ মন্ত্রণালয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতার জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শেরপুরের সাধারণ মানুষ।
যাযাদি/এসএইচ