শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

আড়াইহাজারে ১৬ ডিসেম্বরের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে শহিদ মিনার

রফিকুল ইসলাম রানা, আড়াইহাজার ( নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:১৩
আড়াইহাজারে ১৬ ডিসেম্বরের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে শহিদ মিনার
আড়াইহাজারে ১৬ ডিসেম্বরের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে শহিদ মিনার

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রতি বছরের ন্যায় বাঙালীর কাঙ্খিত বিজয়ের দিন ১৬ ডিসেম্বরের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার। এ দিনে আওয়ামীলীগসহ সকল রাজনৈতিক নেতা কর্মী ও বিভিন্ন সরকারী বে সরকারী সংস্থার পক্ষ থেকে পুস্প স্তবকে ভরে যায় শহিদ মিনারের সামনের অংশটুকু। আর মাত্র কয়েকদিন পরই আসছে ১৬ ডিসেম্বর। সেই অপেক্ষাই করছেন আড়াইহাজারবাসি।

আড়াইহাজার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়ার দেয়া তথ্য মতে ৭১ এর রণাঙ্গণে উপজেলার দুজন বীর মুক্কিযোদ্ধা পাক বাহিনীর হাতে শহিদ হয়েছেন। তারা হলেন, উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত কাজী বাড়ীর দুরন্ত ছেলে ও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র বীর মুক্কিযোদ্ধা কাজী মঞ্জুর হোসেন এবং মাহমুদুপর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম । তাদের কবর গুলো সরকারী ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অবকাঠামো গত ভাবে পাকাকরণ করে দেয়্ াহয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তালিকা অনুযায়ি উপজেলায় ৪১৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে উপজেলা (তৎকালিন আড়াইহাজার থানা) কে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল। যুদ্ধকালিন এম এ সামাদ থানা কমান্ডার এবং কাজী ওয়াজউদ্দিন ডেপুটি কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। আর পূর্ব পশ্চিম দুটি ভাগের মধ্যে খালেকুজ্জামান মোল্লা ছিলেন পশ্চিম ভাগের দায়িত্বে এবং তারই চাচাতো ভাই আহসানউদ্দিন মোল্লা ছিলেন পূর্ব ভাগের দায়িত্বে। তাদের নেতৃত্বে বহু সংখ্যক পাক হানাদার সদস্য সম্মুখ যুদ্ধে হতাহত হয়েছে। যুদ্ধের সময় অনেক মা বোন পাক হানাদার বাহিনীর দ্বারা সম্ভ্রম ও হারিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অনেকেই এখন আর বেঁচে নেই। ১৬ ডিসেম্বরে শহিদ মুক্তিযোদ্দাসহ জীবিত এবং মৃত সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে শহিদ মিনারে দল মত নির্বিশেষে পুস্পস্থবক অর্পণ করা হয়ে থাকে।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে