খুলনা মহানগরীর অধিকাংশ আবাসিক ও বাণিজ্যিক বহুতল ভবন এবং রেস্টুরেন্টে অগ্নিনির্বাপণের নিজস্ব ব্যবস্থা নেই। গত ২ মাসে এমন ১২৫টি আবাসিক ও বাণিজ্যিক বহুতল ভবন এবং রেস্টুরেন্টকে নোটিশ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। আজ মঙ্গলবার থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে । অভিযানে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা বহুতল ভবনের তালিকা তৈরি করে মামলা করা হবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে জানা যায়, তাদের আইন অনুযায়ী ৬ তলার বেশি হলে তাকে বহুতল ভবন বলা হয়। এমন আবাসিক ভবন নির্মাণে ফায়ার সার্ভিস থেকে অনাপত্তিপত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া এই অনাপত্তিপত্র নিতে হয় বাণিজ্যিক যে কোনো ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে। অনাপত্তিপত্র পেতে শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে– নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, অগ্নিনির্বাপণ কাজের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল, হিট ডিটেক্টর, স্মোক ডিটেক্টর, ছাদের ওপর পানির ট্যাঙ্কি, ভূগর্ভস্থ পানির ট্যাঙ্কি, সাধারণ সিঁড়ির পাশাপাশি জরুরি নির্গমন সিঁড়ি। তবে খুলনা নগরীর অধিকাংশ বহুতল ভবন নির্মাণের সময় বাধ্যতামূলক এই অনাপত্তিপত্র নেওয়া হয়নি।
পরিদর্শনে নগরীর বেশির ভাগ বহুতল ভবনে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার কথা জানিয়ে ফায়ার সার্ভিস খুলনার ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর নিয়ামুল হুদা বলেন, ভবন মালিকদের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানানো হলেও তারা গুরুত্ব দেন না। তারা এর পেছনে অর্থ ব্যয় করতে চান না।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মামুন মাহমুদ যায়যায়দিন জানান, বহুতল যেসব ভবন ও রেস্টুরেন্টে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই, সেগুলোকে তারা নোটিশ দেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় অভিযান চালিয়ে সেগুলো বন্ধ করতে পারেন না। তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত তাদের ছয়টি দল গোটা নগরী পরিদর্শন করবে। যেসব ভবন, রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিসের আইন ও নীতিমালা ভঙ্গ করছে, সেগুলোর তালিকা তৈরি করা হবে। এর পর তা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ছাড়া তারা বাদী হয়ে ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করবেন।
এরই মধ্যে একটি টার্ন টেবিল লেডার (টিটিএল) খুলনা ফায়ার সার্ভিসের জন্য বরাদ্দ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চলতি মাসের মধ্যে এটি ঢাকা থেকে খুলনায় পাঠানো হবে।
যাযাদি/এসএস