নেত্রকোণার পূর্বধলায় ২য় ধাপে মে মাসের ২৩ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান সম্ভ্যাব্য প্রার্থীদের পাশাপাশি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের চলছে ব্যপক প্রচারনা। নতুন পুরাতন মিলিয়ে এখানে প্রায় হাফডজনের অধিক প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত পূর্বধলা উপজেলায় সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২ লক্ষ ৭০ হাজার ৬৯৯জন ভোটার রয়েছেন। এই উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের চলছে ব্যপক গণসংযোগ। বতর্মানে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শারমিন সুলতানা সুমি আকন্দ। গতবছর কলসী প্রতীক নিয়ে ২৩ হাজার ২শ ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের এই নেত্রী। তিনি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতি জোট জেলা শাখার সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এবছরও পুনরায় প্রার্থী হবেন বলে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জয়ের আশায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের গিরিয়াশা গ্রামের এই বাসিন্দা।
জেলা পরিষদের সাবেক সংরক্ষিত সদস্য মোছাঃ পারভীন খাতুন এবার উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়বেন বলে জানান দিয়ে যাচ্ছেন। এই লক্ষে তিনি নির্বাচনী প্রচারনার অংশ হিসেবে উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন, করছেন পারিবারিক ও উঠান বৈঠক। উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়ন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এই প্রার্থী।
গোহালাকান্দা ইউনিয়ন থেকে আর এক প্রার্থী হলেন নমিতা রানী পাল। তিনিও নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য প্রচারনার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও গোহালাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
সদর ইউনিয়ন থেকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট যুদ্ধে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তাহমিনা আক্তার বুবলী নামের আর এক প্রার্থী। তিনিও নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঘাগড়া ইউনিয়ন থেকে নতুন আর এক প্রার্থী হলেন শারমিন আক্তার। এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য লিফলেট বিতরনের মাধ্যমে ব্যপক প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এসব প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমানে সবাই কমবেশি নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করলেও শেষ মুহুর্তে এদের কেউ কেউ নির্বচন থেকে সড়ে দাড়াবেন বলে অনেকেই মনে করছেন।
নতুন নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে জামানতের পরিমান চেয়ারম্যান পদে ১০হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫হাজার টাকা করা হয়েছে। জামানত রক্ষায় প্রার্থীদের প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে। বেশি টাকা জামানতের কারনেও প্রার্থী কমে যাবে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। এবারে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটারের সইসহ সমর্থন সুচক তালিকা জমা দেওয়ার বিধান তোলে দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীরা সাদা কালো পোস্টারের পাশাপাশি রঙ্গিন পোষ্টার ও ব্যানার করতে পারবেন।
যাযাদি/ এস