শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রেমের টানে ভাঙ্গায় মালয়েশিয়ার তরুণী

ভাঙ্গা( ফরিদপুর) প্রতিনিধি
  ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৩
প্রেমের টানে ভাঙ্গায় মালয়েশিয়ার তরুণী

প্রেমের টানে ভাঙ্গায় ছুটে এসেছেন এক মালয়েশিয়ার তরুণী। গত রবিবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী শামীম শেখের (৩৫) বাড়ি আসেন তিনি। মালয়েশিয়ার ঐ তরুণীর নাম সুহাইলা-বিনতে-আব্দুর রহমান (৩৬)। তিনি কুয়ালালামপুর শহরের একটি রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করেন। পিতৃহীন এই তরুনীর মা ও ৬ ভাই বোন রয়েছে। তিনি ৫ম সন্তান। তিনি মালয়েশিয়ার এসপিএম (এসএসসি) পাস। প্রেমিক শামীম শেখ গত ৩ মাস আগে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে চলে আসেন। তিনি ২০১৪ সালে জীবিকার সন্ধানে মালয়েশিয়া যান। সেখানে আড়াই বছর আগে সুহাইলার সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শামীম শেখ রবিবার রাতে তার আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে বিয়ে সুহাইলাকে বিয়ে করেন। বিদেশি বউ বাড়ি আসার খবরে সকাল থেকেই প্রতিবেশিসহ এলাকাবাসী শামীম শেখের বাড়িতে ভিড় করে। শামীম শেখের বাবা-মাসহ বাড়ির সকলেই বিদেশি বধূ পেয়ে খুশি।

শামীম শেখ বলেন, ২০১৪ সালে আমি মালয়েশিয়া যাই। গত বছর তিনেক আগে সুহাইলার সাথে তার রেস্টুরেন্টে আমার পরিচয় হয়। এর পর তার সাথে আমার প্রেম হয়। আড়াই বছর ধরে আমাদের প্রেম চলে। আমি গত ৩ মাস আগে দেশে আসি। মালয়েশিয়া অবস্থান করে মালয়েশিয়ান কাউকে বিয়ে করা যায় না। তাই সুহাইলাও প্রেমের টানে রবিবার (২৪ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। আমিসহ আমার কয়েকজন নিকটাত্মীয় বিমান বন্দরে তাকে গ্রহণ করি। এর পর ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওনা হই। ভাঙ্গা উপজেলা শহরে এসে আমরা বিয়ে করি। এর পর গ্রামের বাড়ি যাই।

সুহাইলা খুবই ভাল মেয়ে।

সুহাইলা বলেন, শামীমকে প্রথম দেখেই আমার ভাল লেগেছে। এর পর আমার সাথে প্রেম হয়। ও খুব ভাল ছেলে। বাংলাদেশ খুব ভাল। শ্বশুর শাশুড়ি আমাকে মেয়ের মত গ্রহণ করেছে।

শামীম শেখের বাবা মাহিজ উদ্দিন শেখ ও মা বেহুলা বেগম বলেন, পুত্রবধূকে পেয়ে আমরা অনেক আনন্দিত। মেয়েটি রোজা রেখেছে। আমাদের একমাত্র ছেলের বউ হিসেবে আমরা তাকে বরণ করেছি।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে