মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

নিখোঁজের ৩ দিন পর স্কুল শিক্ষার্থীর লাশ মিলল কলেজের পুকুরে

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৯

গাজীপুরের শ্রীপুরে নিখোঁজের ৩ দিন পর কলেজের পুকুর থেকে মো: সিয়াম নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালের দিক উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের পিয়ার আলী কলেজের পুকুর থেকে ওই স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

শিশু সিয়াম কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার চরকাটিহাড়ি গ্রামের কনক মিয়ার ছেলে। সে বাবা-মায়ের সঙ্গে কলেজের পাশে ইজ্জত আলী ফকিরের বাড়িতে ভাড়া থাকতো।তার বাবা কনক মিয়া ক্ষুদ্র মুরগী ব্যবসায়ী ও মা গৃহিণী। সিয়াম স্থানীয় চাইল্ডহুড স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।

স্থানীয় লোকজন জানান, কলেজের পেছনেই একটি বিশালাকার পুকুর। পুকুরটি পিয়ার আলী কলেজের মালিকানাধীন। ওই পুকুরটি ইজারা নিয়ে পরিচালনা করছেন মো. জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তি। বুধবার সকাল সাতটার দিকে পুকুর পাড়ের পথ দিয়ে যাওয়ার সময় এক পথচারী পানিতে মরদেহটি ভাসতে দেখেন। পরে বিষয়টি তিনি স্থানীয় লোকজনদের জানান। খবর ছড়িয়ে পড়লে পুকুর পাড়ে এসে শিশুর মরদেহটি সিয়ামের বলে সনাক্ত করে তার পরিবার। এরপর তারা শ্রীপুর থানায় খবর পাঠায়। পরে পুলিশ এসে পানি থেকে ভাসমান অবস্থায় সিয়ামের মরদহ উদ্ধার করে।

শিশুর পরিবারের লোকজন জানায়, গত ১৪ এপ্রিল দুপুরে সিয়াম নিখোঁজ হয়। শিশুকে তারা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করে না পেয়ে শ্রীপুর থানার শরণাপন্ন হয়। এই ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগ দেয় শিশুর বাবা। নিখোঁজের তিনদিন পর সিয়ামের মরদেহ তার মামা জাহাঙ্গীর আলমের ইজারা নেওয়া পুকুরে পাওয়া গেছে। শিশুটি সাঁতার জানত না বলে পরিবারের লোকজনের দাবি।

শ্রীপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. ইসমাইল হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন," খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ওই পুকুরে ভাসমান অবস্থায় স্কুল ছাত্রের মরদহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের হাত-পা বাঁধা ছিল না। সুরতহাল সম্পন্ন হয়েছে। তার মৃত্যু কিভাবে হলো, তা ময়নাতদন্ত করলে জানা যাবে। নিহতের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ও উর্ধতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তে এ ঘটনার পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ চলমান"।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে