গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া এলাকায় বুধবার দিবাগত রাতে এক অগ্নিকাণ্ডে তিনটি কলোনীর শতাধিক বসতঘর, দোকান ও মালামাল ভস্মীভূত হয়েছে। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিন জানান, বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ৯৯৯ থেকে ওই অগ্নিকাণ্ডের খবর পান তারা। পরে ভোগড়া মডার্ন ফায়ার স্টেশনের ৩টি ও কোনাবাড়ী মডার্ন ফার্সেশনের দুইটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ওই আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকান্ডে তিনটি কলোনির অর্ধশতাধিক বসতঘর ও দোকানপাট পুড়ে গেলেও কেউ হতাহত হননি।
তবে এক কলোনির মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, অগ্নিকাণ্ডে তিনটি দোকানসহ তার ৩১টি বসতঘর ও টিভি ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে। তিনি আরো জানান, মোহর আলীর ভাড়া দেয়া হোটেলও চায়ের দোকান থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। পরে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে আশেপাশের কলোনিতে ছড়িয়ে পড়ে। নিজেরা আগুন নিভানোর চেষ্টা চালিয়ে ৯৯৯ নম্বরে অগ্নিকান্ডের খবর জানানো হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসতে দেরি করেছে।
অপর কলোনির মালিক মোহর আলী জানান, তার একটি হোটেলসহ ৩১ টি বসতঘর পড়ে গেছে।
অকলনের মালিক আব্দুর রহমান জানান তার ৭০ টির মত বসতঘর ও প্রসাদ করে থাকা টিভি ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আগুনের
সূত্রপাত হলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেছে দেরি করে, যার কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে গেছে।
কলোনির মালিকরা জানান, স্থানীয় নায়েব আলী মাতব্বর ও তার ভাগিনা সোলেমান মিয়ার জমিতে তারা বাড়ি ও দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন এবং নিজেরা বসবাস করছেন।
ঘটনাস্থলে বিলম্বে যাওয়ার কথা অস্বীকার করে ভোগড়া মর্ডান ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ রুহুল আমিন জানান, এলাকায় পানি সংকটের কারণে আগুন নেভাতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
যাযাদি/ এস