ফেনীর ছাগলনাইয়ায় একটি বাগানবাড়ি থেকে একজন চা-দোকানির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম করিম উল্ল্যাহ ওরফে কালা মিয়া (৬৫)। তিনি ছাগলনাইয়া পৌরসভার বাঁশপাড়া গ্রামের জমাদারবাড়ির রাজা মিয়ার ছেলে। ছাগলনাইয়া বাজারে নিহত করিমের একটি কনফেকশনারি দোকান রয়েছে।

বুধবার (২২ মে) ভোরে ছাগলনাইয়া বাজারের পাশে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সন্দেহভাজন দুই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে ছাগলনাইয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বাঁশপাড়া গ্রামের একটি বাগানবাড়িতে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই স্থানে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহত করিম উল্যাহর ছেলের বউ নুরের নাহার জানান, গত মঙ্গলবার রাত ১১টায় তাঁর শ্বশুর দোকান থেকে বাড়ি ফিরে না আসায় বেশ কয়েকবার ফোন দেওয়া হয়েছিল। ফোন না ধরায় তাঁরা গিয়ে দোকান খোলা দেখতে পান। পরে নিজেরা দোকান বন্ধ করেন। শ্বশুর রাতে বাড়িতে না ফেরায় সবাই চিন্তিত ছিলেন। তাঁর শ্বশুরের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না। তাঁরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

চৌগাছায় কৃষকের ১ বিঘা ফলন্ত ড্রাগন গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

নাম প্রকাশ না করার স্বর্থে স্থানীয় লোকজন জানান, ওই নিহত চা-দোকানিকে কোনো ধরনের প্রলোভন দিয়ে রাতের আঁধারে ওই নির্জন বাগানবাড়িতে নেওয়া হয়েছে। অথবা তাঁকে অন্য কোথাও নিয়ে আঘাত ও শ্বাস রোধ করে হত্যার পর তাঁর লাশ সেখানে ফেলে আসা হয়েছে।

ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তাঁকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলেই পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। এ ছাড়া লাশের মাথাসহ শরীরে সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বলা যাবে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

যাযাদি/ এসএম