শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানাধীন পূর্ব নাওডোবা এলাকার গনির মোড় থেকে ক্যান্টনম্যান্ট লাগোয়া সার্ভিস এরিয়া-২ পর্যন্ত প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে ২৭০০ মিটার বা প্রায় পৌনে ৩ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কাজে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে সরেজমিনে এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মাদারীপুর আঞ্চলিক শাখার কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব নাওডোবার গনির মোড় এলাকা থেকে সার্ভিস এরিয়া-২ পর্যন্ত সদ্য সংস্কার হওয়া রাস্তাটি সরেজমিনে ঘুরে দেখেন তারা। এসময় ল্যাব পরীক্ষার জন্য রাস্তার ঢালাই দেয়া কিছু অংশ খুঁড়ে নমুনা হিসেবে সংগ্রহ নিয়ে যান তারা। পাশাপাশি রাস্তার দুই পাশে এটেল মাটির পরিবর্তে বালুমাটি দেয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মাদারীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো: কামরুজ্জামান ঘটনাস্থলে একটি টীম নিয়ে এসে পুরো রাস্তাটি পরিদর্শন করেন।
এসময় তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রাফিউল ইসলাম ও জাজিরা উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ঈমন মোল্লাসহ এলজিইডি'র নিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন, রাস্তাটির সংস্কারের কাজ করা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান "ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স" এর ঠিকাদার রাশেদুজ্জামান।
ঠিকাদার রাশেদুজ্জামান রাস্তা সংস্কারের কাজ যথাযথ দাবী করে বলেন, আজকে দুদক ও এলজিইডি'র কর্মকর্তারা আমার এই রাস্তা সংস্কারের কাজটি সরেজমিনে দেখতে এসে ল্যাব পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে কাজ যথাযথ না পেলে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
শরীয়তপুর জেলা এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রাফিউল ইসলাম অতিরিক্ত ভাড়ি যানবাহন চলাচল করায় রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দাবি করে বলেন, এখনও রাস্তাটি সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। তবে যতটুকুই হয়েছে, ততটুকু আমরা আমাদের কাজ যথাযথই করেছি। বাকিটা তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের মতো করে দেখুক।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মাদারীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো: কামরুজ্জামান বলেন, এই রাস্তাটির সংস্কারে নিম্নমানের কাজ হয়েছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা এখানে এসে সরেজমিনে ঘুরে দেখেছি এবং নমুনা সংগ্রহ করেছি। ল্যাবে পরীক্ষা করার পরই বাকিটা বলা যাবে।